ব্যাংক খাতের সুশাসন আরও বাধাগ্রস্ত হবে

ব্যাংক খাতের সুশাসন আরও বাধাগ্রস্ত হবে

বিভিন্ন ব্যাংকে নানা অনিয়মের সঙ্গে প্রভাবশালী পরিচালকদের সম্পর্ক বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা পরিদর্শনে উঠে এসেছে। বড় ঋণ নিয়ে অনেকের বছরের পর বছর শোধ না করেও খেলাপিমুক্ত থাকার কৌশল নিয়ে রয়েছে সমালোচনা। এসব নিয়ে ব্যাংক খাতের সুশাসন এমনিতেই প্রশ্নবিদ্ধ। এমন বাস্তবতায় আর্থিক খাত সংস্কারের উদ্দেশ্যে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আইন সংশোধনী বিল সংসদে উত্থাপিত হয় গত ৮ জুন। বিলে পরিচালকদের মেয়াদ টানা ৯ বছর রাখার প্রস্তাব থাকলেও আইন পাস করার সময়ে তা ১২ বছর করা হয়েছে। এ ছাড়া সংশোধিত আইনে আরও কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যাংক খাতের সুশাসন আরও বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, আইএমএফের ঋণ পাওয়া যেন সহজ  হয়, সে লক্ষ্যেই ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের বিষয়টি সামনে আসে। সে আলোকে সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়। বিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য এক সপ্তাহ সময় দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। সংসদীয় কমিটির সুপারিশ না থাকলেও সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটোর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বড় দুটি সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথমটি হলো, এখন থেকে কোনো ব্যবসায়ী গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান খেলাপি হলে অন্য প্রতিষ্ঠানকে খেলাপি বিবেচনা করা যাবে না। তার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত থাকবে। নতুন ঋণ নিতেও আর বাধা নেই। আবার টানা ১২ বছর পরিচালক থাকার সুযোগের মাধ্যমে প্রকারান্তরে ‘আজীবন’ পরিচালক থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কেননা, এর আগে যখন প্রভাবশালীদের পরিচালক পদে বহাল থাকার সুযোগ শেষের দিকে এসেছে, তখনই আইন সংশোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত

অর্থ বাণিজ্য