শতাব্দী প্রাচীন টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে আর ফিরতে পারলো না সাবমেরিন টাইটানের অভিযাত্রীরা। গভীর সমুদ্রের নিচে থাকা ডুবোজাহাজটি একটি “বিপর্যয়কর বিস্ফোরণে” ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়, ফলে মারা পরে ডুবোযানে থাকা পাঁচজনই।
আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিং করে এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড। এ ছাড়া সাবমেরিন টাইটান পরিচালনাকারী সংস্থা ওশেনগেটের পক্ষ থেকেও একই তথ্য জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি নিউজ।
পাঁচ অভিযাত্রীর মৃত্যু নিয়ে মার্কিন কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা রিয়ার এডমিরাল জন মাগার বলেন, ‘ওই পাঁচজনের লাশ হয়ত কখনও মিলবে না। সেখানে পরিবেশ অবিশ্বাস্যরকম নির্মম।’
মার্কিন কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে পাঁচ অভিযাত্রীর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “ডুবোযানের পাঁচ অভিযাত্রীর মরদেহ আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হবো কি না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারবো না।“
ডুবোযানে থাকা অভিযাত্রীদের মৃত্যুতে “গভীর শোক” নেমে এসেছে তাদের পরিবারে। তবে অভিযাত্রীদের অনুসন্ধানের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে পরিবারগুলো।
অন্যদিকে, এক বিবৃতিতে সাবমেরিন পরিচালনাকারী সংস্থা ওশেনগেট জানায়, “আমরা এখন বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি যে, আমাদের প্রধান নির্বাহী স্টকটন রাশ, শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান দাউদ, হামিশ হার্ডিং, পল নারজিওলেটকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি।“
ওশেনগেট আরও জানায়, “তারা সত্যিকারের অভিযাত্রী ছিলেন, যারা অ্যাডভেঞ্চার, গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান ও বিশ্বের সমুদ্ররক্ষায় স্বতন্ত্র বিশ্বাসে একমত পোষণ করতেন।“
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “কঠিন সময়ে তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। আমরা এ মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক জানাচ্ছি।“