নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি)। আর এসবের জন্য সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলমকে অভিযুক্ত করেছেন তাঁর সহকর্মীরা। ক্ষমতার দম্ভে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে আয়োজিত একটি একাডেমিক সেমিনার পর্যন্ত করতে দেননি বলেও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর বাইরে বিধিবহির্ভূতভাবে বাড়ি ভাড়া ও অন্যান্য ভাতা গ্রহণ, জনবল কাঠামো না মেনে নিজের খেয়াল-খুশি মতো বিভিন্ন পদে নিয়োগেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শিক্ষকদের এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবকে জরুরি ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৩ জুন উপাচার্য দিদার-উল-আলমের চার বছর মেয়াদ শেষ হয়। দীর্ঘ চার বছর মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কোনো কাজ না হলেও তাঁর মেয়াদ শেষের দিকে নিয়োগ বাণিজ্যের হিড়িক পড়ে। এখন তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ভিসি পদের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন বলে জানা গেছে।
নোবিপ্রবির শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি ‘বাংলা ভাষার মর্যাদা ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক একটি অনলাইন সেমিনার আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেও কোনো কারণ উল্লেখ না করেই ওই সেমিনার স্থগিত করে দেন উপাচার্য। পরবর্তী সময়ে গত মার্চে ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন’ শীর্ষক আরেকটি একাডেমিক সেমিনার আয়োজনের অনুমতি চাইলেও তিনি তা আমলে নেননি। তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকারি দিবসগুলো নিয়ম মাফিক পালন করা হলেও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো একাডেমিক আলোচনা ও সেমিনারের নজির গত চার বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।বিস্তারিত