আমদানির খবরে দেশের বিভিন্ন স্থানে অর্ধেকে নেমে এসেছে কাঁচামরিচের দাম। খুচরা দরে ৮০০ টাকা কেজির কাঁচামরিচ একদিনের ব্যবধানে কমে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বগুড়া শহরের রাজাবাজার ও ফতেহআলী বাজার ঘুরে দেখা যায়, রোববার সকালে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকায়। বেলা ১১টার পর মহাস্থান হাট থেকে মরিচ আসার পর দাম কমে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি শুরু হয়। মহাস্থান হাট থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে কিনে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বগুড়া শহরে আড়তদারদের কাছে ২৮০ টাকায় বিক্রি করেন। হাতঘুরে সেই মরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে ফরিদপুরে অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে কাঁচামরিচের দাম। শনিবার মরিচ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। রোববার বিকেল পর্যন্ত জেলার বাজারগুলোতে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ফরিদপুর শহরের জনতা ব্যাংক মোড় এলাকার মোহাম্মদীয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক দাউদ আকন্দ বলেন, ‘হোটেলের জন্য শনিবার ৭০০ টাকা কেজি দরে মরিচ কিনতে হয়েছে। সেই মরিচ আজ বিকেলে নিউমার্কেট ও চক বাজার এলাকায় ৪০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি।’
আরও পড়ুন: কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু, দাম কমার আশা
জেলার সবচেয়ে বড় মরিচ বাজার হিসেবে পরিচিত মধুখালী উপজেলা সদরের আড়তদার ও ব্যবসায়ী মো. আলম বলেন, ভারত থেকে আমদানির খবরে একদিনের ব্যবধানে ৮০০ টাকার মরিচ ৩০০ টাকায় নেমে এসেছে। কাল-পরশুর মধ্যে দাম আরও কমে যাবে। দু-একদিনের মধ্যেই মরিচের দাম আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে মধুখালী আড়ত মালিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ভবতোষ দাস বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটের কারণে হঠাৎ করে বাজারে অস্বাভাবিক হারে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে যায়। ভারত থেকে আজ ৩০ থেকে ৪০ ট্রাক কাঁচামরিচ এসেছে। এ খবরে হঠাৎ করে দর পড়ে গেছে। সামনে দাম আরও কমে যাবে।
ঈদের ছুটিতে পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে ৬ ট্রাক কাঁচা মরিচ ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করে। ট্রাক প্রতি ১০ টন করে এতে মোট ৬০ টন কাঁচা মরিচ রয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সন্ধ্যায় আরও কিছু কাঁচা মরিচের ট্রাক এ বন্দর থেকে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্তৃপক্ষ।
সাতক্ষীরা কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবু বলেন, ‘স্থানীয় বাজারে বর্তমানে কাঁচা মরিচ ৪শ’ থেকে ৪৫০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচের এ দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছে। ভারতীয় মরিচ আসায় ইতিমধ্যে দাম কমতে শুরু করেছে।’ দু-একদিন গেলেই ৫০ থেকে ৬০ টাকায় দরে চলে আসবে বলে জানান তিনি।
এদিকে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের ছুটির পর আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৫৫ টন কাঁচা মরিচ দেশে এসেছে। রাতে আরও আসবে। এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৮৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দেশে এসেছে মোট ৯৩ টন।