ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নানা আয়োজনে পালিত হল ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৮। ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ হিসেবে ২০১৭ সালে প্রথমবার এ দিনটি উদযাপিত হলেও দিবসটির নাম বদল করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ করা হয়।
১২ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।
সাইফ আহমাদ
এবারের ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ২০০৮ সালে ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। বিগত এক দশকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে দেশের তরুণ সমাজ। তাদের নানা দিক নিদের্শনায় সরকার ডিজিটাল খাতের নানা পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সফল হয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, মন্ত্রী হওয়ার পরে প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল ফোরজি চালু করা। সেটি সম্ভব হয়েছে। ফাইভজি নিয়েও এখন কাজ চলছে। কৃষিভিত্তিক দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল ও তথ? প্রযুক্তিভিত্তিক দেশে পরিণত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন সদ্য বিদায়ী মন্ত্রী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, ২০০৮ সালে মাত্র ৮০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব?্যবহার করতেন। এখন তা বহুগুণ বেড়ে গেছে। আইটি খাত থেকেও আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ডিজিটাল খাতে অনেক এগিয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন শ্যাম সুন্দর শিকদার।
দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কারপ্রাপ্তদের সম্মাননা প্রদান, রোবো ওয়ার, পাজল গেম শো, প্রদর্শনী, দেশব্যাপী অনলাইন প্লাটফর্মে রচনা প্রতিযোগিতা, জেলা-উপজেলায় চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কিত আলোচনা সভা।
এছাড়াও এছাড়া একই স্থানে বিকালে অনুষ্ঠিত হয় ‘সোনার বাংলা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার এবং রোবো ওয়ার ও জাতীয় পর্যায়ে অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ।