ব্যাংক খাতে হ্যাকিং ঝুঁকি

ব্যাংক খাতে হ্যাকিং ঝুঁকি

ব্যাংক খাতে ছড়িয়েছে ‘হ্যাকিং’ আতঙ্ক। হরহামেশাই ব্যাংকের ওয়েবসাইট, সার্ভার এবং লেনদেনব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে হ্যাকার গ্রুপ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিষয়টি সামনে আনা হচ্ছে, আবার অনেক ক্ষেত্রেই চেপে যাচ্ছে ব্যাংকগুলো। সুরক্ষায় যেসব পদক্ষেপ নেয়ার কথা, আর্থিক ও লোকবলের অভাবে তা নেয়া যাচ্ছে না। জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার পর তীব্র হয়েছে এই শঙ্কা।

বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকদের নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ ফাঁস হয়েছে কোটি কোটি ব্যক্তিগত তথ্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পর এটিই সাইবার নিরাপত্তাবলয় ভাঙার সবচেয়ে বড় ঘটনা। এরই মধ্যে বাড়তি সতর্কব্যবস্থা গড়ে তুলেছে ব্যাংক খাত। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। সার্বিক তদারক করছে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সাইবার ইউনিট; ‘বিডি সার্ট’।

ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘প্রতিটি ব্যাংকের এ মুহূর্তে সাইবার নিরাপত্তার দিকটি আরও একটু কঠোরভাবে দেখা উচিত। পরিচয়পত্রের তথ্য যদি বেহাতই হয়, তাহলে বোঝা যায় বাংলাদেশে সাইবার হামলা অনেক বেড়ে গেছে।’

তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংকগুলোতে ভুয়া অ্যাকাউন্ট করে যেন লেনদেন না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তথ্য ফাঁসের ঘটনার ফলে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) যে কানেক্টিভিটি আছে, সেই ডেটাগুলো পুনর্বিন্যস্ত করে রক্ষা করতে হবে।’’বিস্তারিত

অর্থ বাণিজ্য তথ্য প্রুযুক্তি