ঢাকায় আজ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ

ঢাকায় আজ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদল এখন বাংলাদেশ সফর করছে। এর মধ্যে আজ বিএনপি রাজধানীতে সরকার পতনে এক দফা ঘোষণা ও গণশক্তি প্রদর্শনে সমাবেশ ডেকেছে। বিএনপিকে রাজপথে একতরফা শক্তি প্রদর্শনের সুযোগ দিতে রাজি নয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটি রাজধানীতে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে।

বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দল এবং জোটগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কয়েকটি দাবিসংবলিত এক দফা আন্দোলন চূড়ান্ত করেছে। একই সঙ্গে ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র মেরামতে কী কী করা হবে সে সম্পর্কে ৩১ দফার একটি রূপরেখা ঘোষণার কথাও রয়েছে। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হবে। ২৩ শর্তে এ সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।

বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু  বলেন, ‘শরিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে সবাই সরকারের পদত্যাগকে এক দফা হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে আন্দোলনের নতুন যাত্রা শুরু করতে ঐকমত্য হয়েছে।’ তিনি জানান, সমাবেশে এক দফা আন্দোলনের সঙ্গে রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হিসেবে যৌথ রূপরেখাও ঘোষণা করা হতে পারে।

দলীয় সূত্র জানায়, আজকের সমাবেশের পর আগামী দু-এক দিনের মধ্যে গণ-অনশন কিংবা বিক্ষোভ সমাবেশ অথবা মিছিলের মাধ্যমে আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু হতে পারে। এরপর পদযাত্রা, অবস্থান ধর্মঘট এবং সবশেষে ঘেরাও কর্মসূচিতে যাবে দলটি।

হরতাল-অবরোধের মতো সহিংস কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা নেই দলটির। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে, বিএনপির সমাবেশস্থলের অল্প দূরে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে একই দিনে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে যেন কোনো সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা কালের কণ্ঠকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আওয়ামী লীগের দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, রাজধানীতে একই দিনে দুই বড় দলের কর্মসূচি থাকলেও তা সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে না। এক বছরের বেশি সময় ধরে বিএনপির কর্মসূচির দিন শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ। রাজধানীতেও একই দিনে এ ধরনের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

তবে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কোথাও একবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আক্রমণাত্মক না হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজপথে যাতে নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।

রাজনীতি