কয়েক দিন ধরে চলা ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকার জনজীবন। দিল্লিতে যমুনা নদীর পানি ক্রমাগত বাড়তে থাকায় তলিয়ে গেছে বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট ও ভবন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কেন্দ্রের সহযোগিতা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
এদিকে মৌসুমি বৃষ্টিজনিত কারণে বিভিন্ন রাজ্যে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যাও। এখন পর্যন্ত শুধু হিমাচল প্রদেশেই অন্তত ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে গত চার দিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের।
বৃহস্পতিবার এনডিটিভি, এএনআই ও আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
এনডিটিভি জানায়, এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় যমুনার পানি ২০৮ দশমিক ৪৮ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। ‘চরম পরিস্থিতি’ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে দেশটির সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন বলছে, যমুনার পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা দেখা দেয়ার সতর্কতার অংশ হিসেবে দিল্লির বিভিন্ন স্কুল এবং সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর (২৪ জুন) থেকে পর্যন্ত রাজ্যটিতে ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বন্যা ও ভূমিধসসহ বিভিন্নভাবে অন্তত ১৬ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
দেশটির উত্তরাখণ্ড রাজ্যেও অবিরাম বর্ষণের কারণে ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জায়গায় জায়গায় ভূমিধসের কারণে বহু রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
বৃষ্টির কারণে হিমাচলের চম্বা, সিমলা, সিরমাউর, কিন্নর এবং অন্যান্য জেলায় বিপুল সংখ্যক পর্যটক আটকে পড়েছেন। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু জানিয়েছেন, বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে আটকে থাকা প্রায় ৫০ হাজার পর্যটককে উদ্ধার করে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তর ভারতের পাঞ্জাব এবং হরিয়ানাতেও। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বুধবার দুই রাজ্য মিলিয়ে নতুন করে ছজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। যার মধ্যে শুধু পঞ্জাবেই মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।