যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার-সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু গতকাল দিনভর সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক করে কাটিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দিন শুরু করা মার্কিন প্রতিনিধিরা একে একে আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র সচিব ও সুশীলসমাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রতিটি বৈঠকেই অবাধ, সুষ্ঠু ও সংঘাতমুক্ত শান্তিপূর্ণ আগামী সংসদ নির্বাচনের ওপর জোর দিলেও মার্কিন প্রতিনিধিরা কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গ আনেননি। দুপুরে উজরা জেয়া আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে সরাসরি জানিয়েছেন, সবাই সংলাপ চান। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো ধরনের সংলাপের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সম্পৃক্ত হবে না। তবে তিনি ভীতিহীন সাংবাদিকতা ও মুক্তচিন্তার সুশীলসমাজের বিষয়ে জোর দিয়েছেন, আলোচনা করেছেন। দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে উজরা জেয়া গণমাধ্যমের সামনে আসেন। তিনি প্রথমে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং পরে তিনটি প্রশ্নের উত্তর দেন। লিখিত বক্তব্যে মার্কিন আন্ডার-সেক্রেটারি বলেন, দীর্ঘদিনের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা রাখতে চায়। মূলত বৈশ্বিক মানবাধিকার নীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র। শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নির্বাচন এবং সুশাসনে ব্যাপকসংখ্যক বাংলাদেশির অংশগ্রহণের ওপর বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। একটি অংশগ্রহণমূলক এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহযোগিতা থাকবে, যেখানে সব নাগরিকের বিকাশ হবে। নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের অঙ্গীকারের বিষয়ে তাঁর মনোভাব জানতে চাইলে উজরা জেয়া বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি অন্য মন্ত্রীদের কাছ থেকে জোরালো প্রত্যয়ের কথা শুনেছি। পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গেও অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যাপারে আলোচনা করেছি। তিনি বলেন, গতকাল দুটি বিশাল জনসভা দেখেছি। স্বস্তির বিষয়টি হচ্ছে, কোনোরকম সহিংসতা ছাড়াই সেটা হয়েছে। আমরা যেমনটা দেখতে চাই, এটা তার সূচনা। ভবিষ্যতেও এর প্রতিফলন থাকবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা।বিস্তারিত