শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোলা হয়েছে ডেঙ্গু ওয়ার্ড। কারণ কয়েকদিন ধরেই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। শুধু এই হাসপাতালেই নয়, সারাদেশেই একই চিত্র।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি, দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ২২ হাজার। আর মৃত্যুও শতাধিক। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার শঙ্কায় চিকিৎসকরা।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, রোগীকে আগে পরীক্ষা করতে হবে ডেঙ্গু হয়েছে কি না। হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মত চলতে থাকবে। যদি অবস্থা আশঙ্কাজনক না হয় তবে বাসায় বসেই চিকিৎসা নিতে পারে। এ সময় রোগীকে প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার যেমন স্যালাইন, ডাবের পানি, স্যুপ খাবে এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেবে।
এদিকে কারও যদি আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি হয় তবে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি হচ্ছে- একদম খেতে পারে না, প্রচুর বমি, তীব্র ব্যাথা, মাথা ঘুরানো, প্রস্রাব না হওয়া, কোথাও রক্তক্ষরণ হওয়া প্রভৃতি। এ ধরনের কোনো লক্ষণ থাকলেই হাসপাতালে দ্রুত ভর্তি হতে হবে।
বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে মহামারি হিসেবে দেখছেন কীটতত্ত্ববিদরা। কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবীরুল বাশার বলছেন, প্রতিদিন ডেঙ্গুতে আক্রান্তের যে তথ্য দেয়া হয়, এই সংখ্যা তার চেয়েও বেশি।
আসছে আগস্ট মাসে দেশে ডেঙ্গুর পিক মৌসুম হবে বলে ধারণা করছেন ভাইরোলজিস্টরা।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্বেই হঠাৎ তাপদাহ বা অতিবৃষ্টি হচ্ছে। তাই সারা বছরই ডেঙ্গু থাকবে। তবে বর্ষার শুরু এবং শেষে এর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি থাকবে। তাই জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতি হয়ে উঠে ভয়ঙ্কর।
স্থানীয় সরকারের পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যক্তি পর্যায়ে সবার সচেতনতার বিকল্প দেখছেন না তারা।