আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা করা হলে নির্বাচন আয়োজন কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে তিনি আশা করছেন, রাজনৈতিক সমঝোতা হবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অংশগ্রহণমূলক হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্বাচন, চলমান রাজনীতি, বিদেশিদের দৌড়ঝাঁপসহ নানা প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে সংলাপের মাধ্যমে ন্যূনতম মৌলিক প্রশ্নে মতভেদ ও সংকট নিরসন অসম্ভব নয়। সিইসি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর বিদেশিদের কোনো চাপ নেই। কমিশনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বার্তাও নেই। নির্বাচনের গ্রহযোগ্যতার কোনো নির্ধারিত মানদন্ড নেই উল্লেখ করে সিইসি বলেছেন, কমিশনের সফলতা বিফলতা নির্বাচন শেষে জনগণই মূল্যায়ন করবে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক মহল এখন সরগরম। সব চেয়ে বড় জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন নির্বাচন কমিশনের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন?
সিইসি : রাজনৈতিক প্রতিকূলতা, অস্থিরতা, ডামাডোল অনেক কিছু সত্ত্বেও কমিশনকে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় তার দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। নির্বাচন রাজনৈতিকভাবে স্বাগত হওয়ার বিষয়। সব দলই নির্বাচনের পক্ষে। নির্বাচনের পদ্ধতি প্রকৃতি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। মতভেদের নিরসন হতে পারে। নির্বাচনকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা হলে চ্যালেঞ্জ হতে পারে। পরিশেষে কতটা চ্যালেঞ্জ থাকবে বা আদৌ থাকবে কিনা তা এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আশাকরি একটা সমঝোতা হবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অংশগ্রহণমূলক হবে।বিস্তারিত