তরুণ ও যুবকদের জন্য চমক রাখা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারে।
মঙ্গলবার একই দিনে ইশতেহার ঘোষণা করেছে প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
তরুণদের ভোট নিজেদের বাক্সে নিতে দুদলই তাদের ইশতেহারে তরুণ এবং যুবকদের জন্য রেখেছে পৃথক পৃথক বিষয়।
স্বল্প খরচে তরুণদের কাছে ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা পৌঁছে দিতে ‘ইয়ুথ প্ল্যান’ চালুর অঙ্গীকার করেছে আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত তরুণদের স্বার্থসংরক্ষণের জন্য ইয়ুথ পার্লামেন্ট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বলা হয়েছে-স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুগোপযোগী করতে কারিগরি শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে অধিকতর বিনিয়োগ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার জন্য আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অগ্রাধিকার পাবে।
তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি উপজেলায় প্রসারিত করা হবে। উপজেলাগুলোতে ‘যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’স্থাপন করা হবে। বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি এই কেন্দ্রগুলোকে পর্যায়ক্রমে ‘তরুণ কর্মসংস্থান কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
এর মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রয়োজন ও তরুণদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির জন্য আবেদন করার আহ্বান জানাতে পারবে।
বেকারত্বের হার ২০২৩ সালে ১২ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং কর্মসংস্থানে কৃষি, শিল্প ও সেবার অংশ যথাক্রমে ৩০, ২৫ ও ৪৫ শতাংশে পরিবর্তন করা হবে।
২০২৩ সাল নাগাদ অতিরিক্ত এক কোটি ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। এ ছাড়া ওই সময়ে নতুনভাবে এক কোটি ১০ লাখ ৯০ হাজার মানুষ শ্রমশক্তিতে যুক্ত হবে।
তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবণতা ও আত্মকর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে বিনা জামানতে ও সহজশর্তে জনপ্রতি দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা ইতিমধ্যে প্রদান করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ সুবিধা আরও বিস্তৃত করা হবে।
তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে যারা সম্ভাবনার ছাপ রাখতে সক্ষম হবে, তাদের জন্য আর্থিক, প্রযুক্তি, উদ্ভাবনসহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করা হবে। তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য প্রণয়ন করা হবে একটি যুগোপযোগী ‘তরুণ উদ্যোক্তা নীতি’।
এদিকে বিএনপির ইশতেহারে বলা হয়েছে-জাতীয় উন্নয়নে যুব, নারী ও শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত তরুণদের স্বার্থসংরক্ষণের জন্য ইয়ুথ পার্লামেন্ট গঠন করা হবে।
বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষিত বেকারদের ভাতা প্রদান করা হবে।
পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা ব্যবস্থা বিলোপ করা হবে। ৫ বছরে এক কোটি নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নারী ও প্রান্তিক জাতিগোষ্ঠী কোটা ব্যতিরেকে কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হবে।