১২ জুলাই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ‘এক দফা’ ঘোষণা করলেন। দুই সপ্তাহের মাথায় ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দিলেন। আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ থেকে ২৭ জুলাই মহাসমাবেশের ব্যবধান মাত্র চার দিন। খুব কম সময়ের মধ্যে বড় কর্মসূচির মধ্যে ঢুকলেন। এর মানে কি এই, আপনারা একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলনে গেলেন?
মির্জা ফখরুল: আসলেই তো আমরা শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। এক দফা দাবি যখন আমরা দিয়েছি, তখনই তো বুঝতে হবে যে আমরা একটি চূড়ান্ত আন্দোলনের দিকে যাচ্ছি। এক দফা হচ্ছে সরকারের পদত্যাগ। কেন পদত্যাগ—বেসিক্যালি এই সরকার তো অবৈধ সরকার। পঞ্চদশ সংশোধনী (সংবিধানের এই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়) অবৈধভাবে উপস্থাপন করে পাস করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে যে সরকার এসেছে, সেটা অবৈধ। দ্বিতীয়ত, ২০১৮-তে কোনো নির্বাচনই হয়নি। সুতরাং কোনোমতেই এটা বৈধ সরকার হতে পারে না। সে কারণেই আমরা প্রথমেই বলেছি, এই অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। ৩ নম্বরে আমরা বলেছি, এই সংসদও বৈধ নয়, তাকেও বিলুপ্ত করতে হবে। একটা নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। এরপর আমরা বলেছি যে একটা নতুন নির্বাচন কমিশনও গঠন করতে হবে। যে কমিশন নতুন করে নির্বাচন করবে। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই কিন্তু আমরা এক দফা দিয়েছি। এক দফার প্রথম কথা হচ্ছে, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। এ কারণেই আজকে এটা বলতে পারেন, আন্দোলন একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে।বিস্তারিত