মাছ-মুরগিতে হিমশিম ক্রেতা

মাছ-মুরগিতে হিমশিম ক্রেতা

বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম, বেড়েছে সোনালিরও। সেই সঙ্গে বেড়েছে মুরগির ডিমের দামও। গরিবের মাছ বলে খ্যাত পাঙাশ-তেলাপিয়ারও দাম বেড়েছে। সপ্তাহান্তে বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম।

আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর বৃহত্তর মিরপুর এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মাছ-মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা; এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। অনেক পাড়া-মহল্লায় ১৪৯০ টাকা কেজি বিক্রি হতেও দেখা গেছে। একই ভাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। ডিমের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা দরে। তবে এক হালি কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা।

গত সপ্তাহে আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া প্রতিপিস হাঁস এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। কবুতর বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা প্রতিপিস।

গরু ও খাসির মাংসের দাম আগের মতোই। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস এক হাজার ১০০ টাকা ও ছাগলের মাংস এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারেও নেই স্বস্তি। এতে বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের। মাছবাজার ঘুরে দেখা যায়, ৪০০ টাকার নিচে খুব কম মাছই পাওয়া যাচ্ছে। প্রায় প্রত্যেক ধরনের মাছের দামই আকাশছোঁয়া।

মাছের আকাশছোঁয়া দামের কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেন, মাছের সরবরাহ কম। তাই দাম বেশি। কিছুদিন পর বাজারে মাছের সরবরাহ বাড়বে। তখন দাম কিছুটা কমবে।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ