বিজিএমইএর এজিএমে এলেন না সভাপতি ও তিন সহসভাপতি

বিজিএমইএর এজিএমে এলেন না সভাপতি ও তিন সহসভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) সভাপতিত্ব করেন সভাপতি, তাঁর পাশে থাকেন সহসভাপতিরা। দীর্ঘদিনের এই রেওয়াজ ভাঙলেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। তাঁকে ছাড়াই গতকাল মঙ্গলবার সংগঠনটির ৪০তম এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, পর্ষদের সাতজন সহসভাপতির মধ্যে তিনজন অনুপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে গতকাল দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া এজিএমে সভাপতি ফারুক হাসানের সভাপতিত্ব করার কথা ছিল। তবে হঠাৎ অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি সভায় আসবেন না বলে জানান। তখন তাঁর পরিবর্তে সভাপতিত্ব করেন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এস এম মান্নান। উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম ও রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী। প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি নাছির উদ্দিন ও মিরান আলী সভায় অনুপস্থিত ছিলেন।

‘হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছি। চিকিৎসক আমাকে সাত দিন সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। আমি না গেলে প্রশ্ন উঠতে পারে সেটি ভেবে আমি শেষ মুহূর্তে হুইলচেয়ারে করে হলেও এজিএমে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু শরীর সাপোর্ট করেনি।’
ফারুক হাসান, বিজিএমইএর সভাপতি

সভাপতি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এজিএমে অনুপস্থিত থাকলেও বিজিএমইএর একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমান পর্ষদের মেয়াদ শেষ হবে অক্টোবরে। সেই হিসেবে জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন বোর্ড ও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার বাধ্যবাধকতা ছিল। সভাপতি কাজগুলো করেননি। এমনকি নতুন করে মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা করেননি। এমন প্রেক্ষাপটে নির্বাচন নিয়ে সদস্যদের কড়া সমালোচনার মুখে যাতে পড়তে না হয়, সে জন্য সভাপতি এজিএমে আসেননি।

যা-ই হোক, এজিএমে নির্বাচনের প্রসঙ্গটি তোলেন পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি বিজিএমইএর নির্বাচনকালীন একটি জোট ফোরামের প্যানেল লিডার। ফয়সাল সামাদ বিজিএমইএর পরবর্তী মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন নিয়ে বর্তমানে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, সেটির সমাধান চেয়ে বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন
মেয়াদ শেষ, পদ ছাড়তে চাচ্ছেন না নেতারা
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর লোগো
যদিও এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এজিএমে সভাপতিত্বকারী এস এম মান্নান আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি।

এজিএমে না যাওয়ার বিষয়ে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছি। চিকিৎসক আমাকে সাত দিন সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। আমি না গেলে প্রশ্ন উঠতে পারে সেটি ভেবে আমি শেষ মুহূর্তে হুইলচেয়ারে করে হলেও এজিএমে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু শরীর সাপোর্ট করেনি।’

অর্থ বাণিজ্য শীর্ষ সংবাদ