নির্বাচনি মাঠে আওয়ামী লীগ, সরকারেও নানা প্রস্তুতি *সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে উন্নয়ন বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন  *প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় সম্পন্ন *প্রশাসনিক কাজকর্মও শেষ পর্যায়ে

নির্বাচনি মাঠে আওয়ামী লীগ, সরকারেও নানা প্রস্তুতি *সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে উন্নয়ন বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন *প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় সম্পন্ন *প্রশাসনিক কাজকর্মও শেষ পর্যায়ে

দলীয় ও সরকারিভাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পুরোদস্তুর নির্বাচনি প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে। সাংগঠনিকভাবে দলকে যেমন মাঠে নামিয়েছে, অপর পক্ষে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সব উন্নয়ন বরাদ্দ ও বাস্তবায়নের কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রশাসনিক কাজকর্মও শেষ করে ফেলেছে। শিগগিরই আওয়ামী লীগ সরকারের চলতি মেয়াদে সর্বশেষ যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতিও ঘোষণা করা হবে। কমবেশি আড়াইশ উপসচিব এই দফায় যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি পেতে পারেন। কারণ নির্বাচনি তপসিল ঘোষণা হয়ে গেলে সব প্রশাসনিক কাজকর্ম কমিশনের অধীনে থাকে। পাশাপাশি উন্নয়ন বরাদ্দ বন্ধ রাখা হয়।

 

নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে, আগামী নভেম্বর মাসে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণা করা হবে।

প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারির মধ্যে সাধারণ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কারণ ঐ তারিখের ৯০ দিন পূর্বের যে কোনো দিন নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচনি প্রচারণাসহ মনোনয়ন দাখিল ও অন্যান্য ক্রিয়াকর্মের জন্য ৪৫ দিন সময় দেওয়া হয়। এই হিসাবে নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারির মধ্যে কোনো এক দিন নির্বাচনের কথা সক্রিয়ভাবে চিন্তা করছে।

সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের ভাবনা মাথায় রেখেই সরকার অন্যান্য প্রশাসনিক কাজকর্মও প্রায় শেষে করে ফেলেছে। এর মধ্যে মাঠ প্রশাসনে সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনে যেসব কর্মকর্তার সাধারণ মেয়াদ শেষ হয়েছে, সেই সব জায়গায় নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে দেওয়া বরাদ্দের প্রথম কিস্তির অর্থ ইতিমধ্যে ছাড় করা হয়েছে। অন্যান্য বছর সাধারণত এই অর্থ ছাড় করতে অক্টোবর-নভেম্বর, ক্ষেত্রবিশেষ ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত গড়িয়ে যায়। কিন্তু এবার ইতিমধ্যে সব সংসদীয় আসন, উপজেলা পৌরসভা, জেলা পরিষদ সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে বরাদ্দ শেষ করা হয়েছে। বিশেষ করে টিআর-কাবিখা-কাবিটার সাধারণ বরাদ্দ শেষ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের অনুকূলে খয়রাতি সহায়তার সাধারণ বরাদ্দও দেওয়া হয়ে গেছে। এখন এমপিদের মাধ্যমে গঠিত প্রকল্পের জন্য সংসদীয় আসনভিত্তিক বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তুতি চলছে।

জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, যেহেতু আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন নভেম্বরে তপসিল ঘোষণা করবে। আর তপসিল ঘোষণা করা হলে উন্নয়ন বরাদ্দ বন্ধ রাখার রীতি রয়েছে। নভেম্বরে তপসিল হলে সে সময় বা নির্বাচন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উন্নয়ন বরাদ্দ বা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না, তাই আগেভাগে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, যাতে করে নির্বাচনি বিধিবিধানের আওতায় উন্নয়ন ব্যাহত না হয়।

অন্যদিকে গত শনিবার অনুষ্ঠিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় বস্তুত নির্বাচনি মাঠে মনোযোগী হতেই জোর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে উঠান বৈঠক, গণসংযোগ, সভা-সমাবেশের মাধ্যমে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গ্রামে গ্রামে ঘুরতে শুরু করেছেন।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ