কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন গত বছর দায়িত্ব নিয়ে প্রথমবারের মতো নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের খাতওয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশের পরিকল্পনা নিয়ে ছিল। কিন্তু সেই উদ্যোগ আর আশার আলো দেখেনি। নির্বাচন কমিশন দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে। দলের হিসাব প্রকাশের কথা জানিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, দলের অডিট রিপোর্ট কমিশনে যাচাই-বাছাই করার মতো লোকবল নেই। তবে দলের অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করতে চান তারা। এ নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, ‘অডিট করার ক্ষমতা ইসির নেই। এটা যাচাই করার মতো লোকবলও নেই। তবে অডিট রিপোর্ট আইন অনুযায়ী প্রকাশ করব।’ তবে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য চাইলেও তারা দিতে রাজি হননি।
তবে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘এটা (আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন) আমাদের কাছে জমা দেয় আইনগতভাবে। এই অডিট রিপোর্ট আমাদের কাছে একটা হেফাজত। সুতরাং এটা আমরা সবার কাছে প্রকাশ করতে পারি না।’
অন্যদিকে ২০১৬ সালে আদালত ছয় নাগরিকের এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায় দিয়েছিলেন- রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশে বাধা নেই। হাই কোর্টের সেই রায়ে বলা হয়েছিল, কোনো নাগরিক কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সেই দলের সম্মতি ছাড়াই তা প্রকাশ করতে পারবে।বিস্তারিত