যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এর নামকরণ করা হয়েছে ‘হিলারি’। এই হ্যারিকেন আগামী শনিবার উপকূলে আঘাত হানার শঙ্কা রয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার।
হ্যারিকেনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় এলাকায়। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হ্যারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, এরই মধ্যে মেক্সিকোর বাজা ক্যালিফোর্নিয়া উপদ্বীপ ও দক্ষিণ-পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় পৌঁছানোর আগেই কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু প্রবল বর্ষণে বন্যা দেখা দিতে পারে। তলিয়ে যেতে পারে অনেক জায়গা। দুর্ভোগে পড়বে বহু মানুষ।
হিলারিকে ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা গত ৮০ বছরে প্রথম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়। এনএইচসি শনিবার সবশেষ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ক্যালিফোর্নিয়ার ইউজেনিয়া থেকে প্রায় ২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা এপিকে এনএইচসির জ্যেষ্ঠ ঘূর্ণিঝড় বিশেষজ্ঞ জন ক্যাঙ্গিয়ালোসি বলেছেন, হিলার দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়বে বলে মনে হচ্ছে।
এদিকে সান ডিয়াগোর আবহাওয়া দপ্তর বড় ধরনের বন্যা সতর্কতা জারি করেছে। সেখানকার ২ কোটি ৬০ লাখ বাসিন্দাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
হিলারির কারণে সতর্ক অবস্থানে মেক্সিকো সরকার। উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় ১৮ হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।