নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
বগুড়া পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশার বিরুদ্ধে আড়াই বছরে পৌরসভার ৬০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালককে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের (পৌর-১ শাখা) উপ-সচিব আবদুর রহমান।
অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর-মেয়র রেজাউল করিম বাদশা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অভিযোগকারী এম এ কে আজাদ নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য বগুড়া পৌরসভায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। পৌরসভায় অবৈধ কাজ করতে না পেরে, তিনি আমার বিরুদ্ধে মন্ত্রীর কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।’
এদিকে অভিযোগকারী পৌরসভার ঠিকাদার এম এ কে আজাদ বলেন, ‘মেয়র আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন তার কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। দুর্নীতিবাজ মেয়রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ৩ জুলাই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপ-সচিবের ১৭ আগস্ট স্বাক্ষরিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে মনে করি।’
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুম আলী বেগ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বগুড়া পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে পৌরসভার তহবিল তছরূপ ও দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত একটি চিঠি হাতে পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়গুলো সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’