কাজী জেবেল
কাল সকালেই ভোট। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটাররা বিরতিহীনভাবে ভোট দেবেন। এরপরই প্রকাশ হবে ফলাফল। এতেই নির্ধারণ হবে কোন দল সরকার গঠন করবে।
ভোটের মাঠে রাজনৈতিক দলগুলোর টিকে থাকা নিয়ে যে অনিশ্চয়তা ছিল তা প্রায় কেটে গেছে। তবে ভোট শান্তিপূর্ণ হবে কিনা সে শঙ্কা এখনও কাটেনি। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা এমন শঙ্কা কাজ করছে বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও তাদের প্রার্থীদের মধ্যে। একই শঙ্কা প্রকাশ করেছে সরকারি দল আওয়ামী লীগও। এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যেও ভয় কাজ করছে।
এ পরিস্থিতিতে ইসি (ইলেকশন কমিশন) বলছে, ভোট নিয়ে কোনো শঙ্কাও নেই। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। ইসি বলছে এ নির্বাচনের নিরাপত্তায় থাকবেন সেনা ও নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাত লাখ সদস্য। এর মধ্যে ভোট কেন্দ্র পাহারায় থাকবেন ৬ লাখ ৮ হাজার সদস্য। এছাড়া ভোট গ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন ৬ লাখ ৬২ হাজার কর্মকর্তা। মাঠে রয়েছেন ২ হাজারের বেশি জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সর্বশেষ শুক্রবার দেশের সব রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে চিঠি দেয়া হয়েছে। ভোট গ্রহণ উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কাজেই কোথাও কোনো সমস্যা নেই।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, ভোট হবে উৎসবমুখর। কোনো ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নেই। এ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের সহযোগিতা চেয়ে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য তিনি ভোটারদের আহ্বান জানান। নির্বাচন নিয়ে আতঙ্কের বিষয়ে যেসব অভিযোগ উঠছে তা ভুল প্রমাণ হবে।
৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে সিইসি। পরে বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ কয়েকটি দলের দাবির মুখে ১২ নভেম্বর পুনঃতফসিল ঘোষণা করা হয়। এ অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর রোববার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রায় এক দশক পর নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জন করে বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ ১২টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিএনপিসহ জোটের শরিকরা। যদিও দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় কারাগারে আছেন।
ইসি জানিয়েছে, এবার ২৯৯টি আসনে ৩৯টি রাজনৈতিক দল ও ১ হাজার ৮৬১ প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ১ হাজার ৭৩৩ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১২৮ জন। একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় গাইবান্ধা-৩ আসনে ২৭ জানুয়ারি ভোটের পুনঃতফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে টানা ১৯ দিন প্রচার চালিয়েছেন প্রার্থীরা। শুক্রবার সকাল ৮টার পর থেকে সব ধরনের প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক দল সমর্থিত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিজস্ব পোলিং এজেন্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ছুটির দিন শুক্রবার দিনভর তারা ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ভোটের কৌশল নিয়ে করেন শলা-পরামর্শও। যদিও বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে প্রচার চালাতে পারেননি বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছেন। প্রশাসন ও পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগও ছিল তাদের।
নির্বাচন কমিশন সচিব জানিয়েছেন, এসব অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এনেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। আসনভিত্তিক সর্বশেষ নির্বাচনী সামগ্রী ব্যালট পেপার পৌঁছে গেছে। এর আগেই ভোটের অন্য সরঞ্জামাদি যেমন- অমোচনীয় কালির কলম, সিলগালা, মার্কিং ও ব্রাসসিল পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ভোটের সামগ্রী সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পুলিশ পাহারায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা।
এবারের নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক কমিয়ে আনা হয়েছে। এতে ওআইসি, কমনওয়েলথসহ কয়েকটি সংস্থার ইসির আমন্ত্রিত ও স্বেচ্ছায় আসা ৩৮ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক থাকছেন। এছাড়া কূটনৈতিক ও বিদেশি মিশনের ৬৪ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশস্থ দূতাবাস, হাইকমিশন ও বিদেশি সংস্থায় নিয়োজিত ৬১ জন বাংলাদেশি কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
অপরদিকে দেশীয় ৮১টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ৩৪ হাজারের বেশি পর্যবেক্ষক আবেদন করলেও অনুমোদন দেয়া হয়েছে ২৫ হাজার ৯০০ জনকে। এদিকে ভোট গ্রহণে টাকার লেনদেন বন্ধে শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিং বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
একইভাবে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে মোটরসাইকেল ও আজ শনিবার মধ্যরাত থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে কমিশনের অনুমোদিত পরিচয়পত্রধারীদের মোটরসাইকেল ও গাড়ি চলাচল করবে। পাশাপাশি হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিসহ জরুরি কাজে নিয়োজিত গাড়ি চলাচলে এ বিধিনিষেধ থাকছে না।
একনজরে ভোটের তথ্য : ইসির তথ্যানুযায়ী, দেশের ৩০০ আসনে ভোট কেন্দ্র ৪০ হাজার ১৮৩টি ও ভোটকক্ষ ২ লাখ ৭ হাজার ৩১২টি। ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন; এর মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৫ জন ও নারী ৫ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৩১২ জন। অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৩৯টি। তবে জোটের আড়ালে বেশ কয়েকটি অনিবন্ধিত দলের নেতা নিবন্ধিত দলের প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন। এ নির্বাচনে সবমিলিয়ে প্রার্থী রয়েছেন ১ হাজার ৮৬১ জন; এর মধ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ১ হাজার ৭৩৩ জন ও স্বতন্ত্র ১২৮ জন।
ভোটের নিরাপত্তায় প্রায় সাত লাখ সদস্য : এ নির্বাচনের নিরাপত্তায় প্রায় সাত লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি। এতে সেনা সদস্যসহ নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৬১০ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন ৬ লাখ ৮ হাজার ও বাকি ৬৮ হাজার ৬১০ জন কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল টিমসহ অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত বাহিনীগুলোর মধ্যে পুলিশ ১ লাখ ২১ হাজার, আনসার ৪ লাখ ৪৬ হাজার, গ্রামপুলিশ ৪১ হাজার সদস্য রয়েছেন। আর ভোট কেন্দ্রের বাইরে মোতায়েন করা বাহিনীর মধ্যে ৩৮৯টি উপজেলায় সেনাবাহিনী ৪১৪ প্লাটুন (১২ হাজার ৪২০ জন), নৌবাহিনী ১৮ উপজেলায় ৪৮ প্লাটুন, কোস্টগার্ড ১৮ উপজেলায় ৪৮ প্লাটুন (১ হাজার ২৬০জন)/বিজিবি ৯৮৩ প্লাটুন (২৯ হাজার ৪৯০ জন); র্যাব ৬০০ প্লাটুন (১৮ হাজার) এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ২ হাজার প্লাটুন (প্রায় ৬৫ হাজার)। এছাড়া নির্বাচনে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬৪০ জন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১ হাজার ৩২৮ জন (এর মধ্যে ৬৫২ জন আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য) মাঠে রয়েছেন।
রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা : দেশের সব সংসদীয় আসনের নির্বাচন শেষ করতে ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪ জেলায় সমসংখ্যক এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুই বিভাগীয় কমিশনার এ দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সহায়তা করতে ৫৮২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন এ নির্বাচনে।
প্রথমবার জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার : প্রথমবারের মতো এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে। আসনগুলো হচ্ছে- ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ এবং সাতক্ষীরা-২ আসন। এসব আসনের ৮৪৫টি কেন্দ্রের ৫ হাজার ৩৮ ভোটকক্ষে এ মেশিন ব্যবহার করা হবে। এ ছয়টি আসনে ভোটার সংখ্যা ২১ লাখ ২২ হাজার।
ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সিইসি : উৎসবমুখর পরিবেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। এ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের সহযোগিতা চেয়ে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভোট হবে উৎসবমুখর। নেই কোনো ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন সেই নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন সিইসি। তিনি বলেন, প্রচার শেষ হওয়ার পর এখন যারা প্রার্থী ও প্রার্থীর সমর্থক সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যার যার অবস্থান থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। কেউ কাউকে বাধা দিতে না পারে। যার যার ভোট যেন সে দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ভোটাররা যেন ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন। সকলের জন্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ অবস্থান সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করব। ভোটার যেন কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন সে আশাই করব।
শুক্রবার সকালে নির্বাচন ভবনে স্থাপিত ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন’ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, ব্যাপকসংখ্যক দল ও সর্বাধিক প্রার্থী এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। উৎসবমুখর ভোট হবে এটাই আশা। ভোটের প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল ৮টায় প্রচার শেষ হয়েছে। এখন সবাই ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত। নির্বাচন কমিশনেরও প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও উদ্বেগ-আতঙ্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই তা ভুল প্রমাণ হবে। আমরা প্রস্তুত, ভোটাররা সবাই উৎসবমুখর এবং আনন্দঘন পরিবেশে ভোটে অংশগ্রহণ করবে, কোনো উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা থাকবে না।
সচিবের ব্রিফিং : নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে শুক্রবার বিকালে সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, ব্যাপক সংখ্যক ও সর্বাধিক প্রার্থী এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। উৎসবমুখর ভোট হবে, এটাই আশা। আমরা প্রস্তুত, ভোটাররা সবাই উৎসবমুখর এবং আনন্দঘন পরিবেশে ভোটে অংশগ্রহণ করবে।
এ সময় ফলাফল ঘোষণার প্রক্রিয়ার বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই ফলাফল ঘোষণা হবে। প্রিসাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রেই ভোট গণনা করবেন। এ সময় প্রার্থীর এজেন্টরা উপস্থিত থাকতে পারবেন। ভোট গণনা শেষে প্রিসাইডিং অফিসার লিখিত ফলাফল কেন্দ্রে সংশ্লিষ্টদের সরবরাহ করবেন। পরে এ ফলাফল রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবেন। রিটার্নিং অফিসাররা তা ইসিতে পাঠাবেন। ইসির ফোয়ারা প্রাঙ্গণে স্থাপিত মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হবে। এ চত্বরে ইসি দশটি মনিটরের মাধ্যমে ফলাফল প্রদর্শন করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ইভিএমের ভোট কেন্দ্রে স্মার্টকার্ড বাধ্যতামূলক নয়, তবে নিয়ে গেলে ভোট দান সহজ হবে।
তিনি জানান, সারা দেশে ভোট কেন্দ্রের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার এলাকা, ভোটার কেন্দ্রের নম্বর পাওয়া যাবে। শনিবার থেকে এ সেবা চালু হবে।
পোলিং এজেন্টদের তালিকা আগেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেয়ার প্রয়োজন নেই জানিয়ে সচিব বলেন, পোলিং অফিসাররা সকাল ৮টার আগেই প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে প্রার্থী বা তার এজেন্টের দেয়া নিয়োগপত্র দেখাবেন। এসব বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ইসি ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান সচিব।