জনসাধারণের জন্য বহুল কাঙ্ক্ষিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আজ রবিবার থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে। এদিন সকাল ৬টা থেকে যান চলাচল শুরু হয় এ সড়কে। খুলে দেওয়ার পরের দুই ঘণ্টায় অর্থাৎ সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত এই উড়ালসড়ক দিয়ে পার হয়েছে মোট ৯৪২টি যানবাহন। গতকাল শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ থেকেই এই রুট জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলো।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়ার প্রথম ২ ঘণ্টায় কুড়িল টোলপ্লাজা দিয়ে ৭২টি, এয়ারপোর্টের টোলপ্লাজা দিয়ে ৫৭৬টি, বনানী-১ দিয়ে ১১৮টি এবং তেজগাঁও টোলপ্লাজা দিয়ে ১৭৬টি যানবাহন পার হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো যানবাহনের চলাচল বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।
ওঠা-নামার র্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলে যানবাহনকে ৪টি শ্রেণিতে ভাগ করে টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাইভেটকার, ট্যাক্সি, জিপ, মাইক্রোবাসসহ হালকা গাড়ির জন্য টোল ৮০ টাকা। মাঝারি ট্রাক ৩২০ টাকা।
৬ চাকার বেশি ট্রাকের জন্য ৪০০ টাকা। সব ধরনের বাসের টোল ১৬০ টাকা। দুর্ঘটনা রোধে ছোট ও কম গতির যানবাহন চলাচল করবে না। সরকারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী, ২৫ বছরের চুক্তির মধ্যে সাড়ে ২১ বছর টোল আদায় করবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।
এর আগে গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আর আজ থেকেই এই রুট জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এর জেরে সকাল থেকেই একে একে টোল প্লাজায় আসতে শুরু করে যানবাহন। নির্ধারিত টোল দিয়ে মাত্র ১০ মিনিটেই কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটারের এই পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে যানবাহনগুলো।