২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পাইলট প্রকল্পের আওতায় কিছু রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে চায় বাংলাদেশ।
এতে মিয়ানমারের দিক থেকেও সম্মতি রয়েছে। সে লক্ষ্যে সোমবার (৪ আগস্ট) মিয়ানমারে ঢাকা-নেপিদোর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, মিয়ানমারে হতে যাওয়া মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে শুরুতে কত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করতে চায় নেপিদো সে বিষয়ে জানতে চাইবে ঢাকা।
রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরাতে মিয়ানমারের উদ্যোগ বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের আস্থা অর্জনের বিষয়েও জোর দেবে ঢাকা।
গত শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবিরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নেপিদো গেছেন।
সূত্র জানায়, চীনের মধ্যস্থতায় যেকোনো সময়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে রাজি মিয়ানমার। তবে অতীত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় হিসাব কষেই প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় ঢাকা। দীর্ঘদিন পর এবার হয়তো প্রত্যাবাসন আলোর মুখ দেখবে।
১৯৭৮, ১৯৯২ ও ১৯৯৯ সালে দফায় দফায় রোহিঙ্গারা মিয়ানমার বাহিনীর নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। তবে রোহিঙ্গা সংকট সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দেয় ২০১৭ সালে। ওই বছর আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে আট লাখ রোহিঙ্গা প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
এরসঙ্গে আগে থেকেই ক্যাম্পে থাকা প্রায় সাড়ে তিন লাখ মিলিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ১২ লাখ। ২০১৭ সালে বিপন্ন রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেয়াকে মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রশংসা করে আন্তর্জাতিক মহল।