কিশোরগঞ্জের বিসিক শিল্পনগরীতে কারখানা করে ওষুধ তৈরি করছে ইস্ট বেঙ্গল ইউনানী। এখানে নিয়মিত আয়ুর্বেদিক ওষুধ উৎপাদন করার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর অনুমোদন দেয়। কিন্তু আয়ুর্বেদিক ওষুধের আড়ালে এই কারখানায় দিনের পর দিন তৈরি হতে থাকে গ্যাস্ট্রিকসহ বিভিন্ন রোগের নকল ওষুধ। খবর পেয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর অভিযান চালালে পালিয়ে যায় ভেজাল ওষুধ চক্রে জড়িতরা। কারখানাটি সিলগালা করেছে অধিদফতর।
ইউনানী ওষুধ উৎপাদনের জন্য লাইসেন্স রয়েছে ২৮৪টি প্রতিষ্ঠানের। নীতিমালা অনুসরণ করে ওষুধ উৎপাদনের কথা তাদের। তা না করে বৈধ কারখানায় নকল ওষুধ উৎপাদন করছে প্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েকটি। এসব কারখানায় কিডনি, ক্যান্সার থেকে শুরু করে সব ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধির নকল ওষুধ তৈরি হচ্ছে। আয়ুর্বেদিক কারখানার অনুমোদন থাকায় সন্দেহ করছে না প্রশাসন কিংবা সাধারণ মানুষ। জনবল সংকটের কারণে এসব কারখানায় নিয়মিত তদারকি করতে পারছে না ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় মাঝে মাঝে পরিচালিত অভিযানে এসব অপরাধীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কিন্তু নকল ওষুধের সিন্ডিকেটের জোরে অল্প সময়ের মধ্যে জামিনে বের হয়ে আবারও একই অপরাধে জড়াচ্ছে তারা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘রোগ প্রতিরোধ করে জীবন বাঁচাতে মানুষ ওষুধ সেবন করে। কিন্তু জীবনরক্ষাকারী ওষুধেও ভেজাল। ভেজাল ওষুধ তৈরি এবং বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি।বিস্তারিত