ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রতারণা করাই ইমরান হোসেন হীরার কাজ। কয়েকদিন আগে সে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের (প্রশাসন) সরকারি নম্বর ক্লোন করে মতিঝিল থানায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেয়। থানা থেকে ছাড়া পেলে তাদের (আসামি) কাছে সে টাকা দাবি করে এবং হুমকি দেয়।
মামলার তদন্তে নেমে প্রতারক হীরাকে গত শনিবার বরিশাল বাকেরগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবির সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গতকাল সোমবার ডিএমপির ডিবি কম্পাউন্ডে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, হীরা একজন পেশাদার প্রতারক। সে দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করলেও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী। ইন্টারনেট ব্যবহার করে সে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপের ব্যবহার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখত। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নম্বর ক্লোন করতে বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করত। থানার ওসি ও ডিউটি অফিসারকে ফোন দিয়ে আসামিদের ছাড়িয়ে নিত। হীরার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
ডিবি জানায়, হীরা সরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নম্বর ক্লোন করে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে ফোন করত। উন্নয়ন কাজের বরাদ্দ হয়েছে জানিয়ে সরকারি ফি বাবদ টাকা জমা দিতে বলত। তাকে মতিঝিল থানার মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।।