প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডধারীদের সুবিধা বাড়ছে

বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি (শিল্প) হিসেবে নির্বাচিতদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মনোনীত প্রতিনিধিরা। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা দ্রুত মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ে জাতীয় উৎপাদনশীলতা পরিষদ (এনপিসি)-এর একাদশ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দেশের শিল্প ও সেবাসহ বিভিন্নখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে কর্ম-কৌশল নির্ধারণের জন্য এ সভার আয়োজন করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূ্ইঁয়া এতে সভাপতিত্ব করেন।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মনোনীত প্রতিনিধিরা একটি ট্রফি, সনদপত্র এবং নিজ প্রতিষ্ঠানের পণ্যের অনুকূলে তিন বছরের পাবলিসিটির জন্য অ্যাওয়ার্ডের লোগো ব্যবহারের সুযোগ পেতেন। বর্তমান প্রস্তাবনায় তাদের সুযোগ-সুবিধা সিআইপি (শিল্প) হিসেবে নির্বাচিতদের অনুরূপ করা হবে। তাদের পরিচয় পত্র এক বছরের জন্য সচিবালয়ে প্রবেশপত্র হিসেবে গণ্য করা হবে। এছাড়া, অ্যাওয়ার্ডধারীরা বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। তাদের ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার থাকবে। তারা বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধাও পাবেন।
সভায় উৎপাদনশীলতা বিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ লক্ষ্যে এফবিসিসিআই এবং বুয়েটের সহায়তায় রাজধানীতে আগামী এক মাসের মধ্যে সেমিনার আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় মাধ্যমিক শিক্ষা কারিকুলামে উৎপাদনশীলতা বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ লক্ষ্যে একটি লাগসই প্রবন্ধ প্রণয়ন করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হবে। সভায় জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক ধারণা জোরদারের লক্ষ্যে একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। পাশাপাশি এনপিসি’র কার্যক্রম গতিশীল করতে প্রতি ছয় মাস অন্তর একটি করে সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় এনপিসির নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (প্রশাসন) নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এতে এফবিসিসিআই, বিসিআই, নাসিব এবং এনপিও’র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
সভায় শিল্প, বাণিজ্য, পাট ও বস্ত্র, তথ্য, কৃষি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ ও সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এফবিসিসিআই, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও নাসিবের প্রেসিডেন্ট, ডিসিসিআই, এমসিসিআই, বিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি, আইইবি, বাংলাদেশ জুট মিলস্ অ্যাসোসিয়েশন, এপিও সোসাইটি ফর বাংলাদেশ, এনপিও, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিসহ কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়