ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা নির্বাচনে ভোট প্রায় ‘নাই’ হয়ে গেছে। জেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সংগঠন জেলা চেম্বারগুলোর অধিকাংশের কমিটি হয়েছে ভোটাভুটি ছাড়া। পণ্যভিত্তিক সংগঠনগুলোতেও সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, অধিকাংশ জেলা ও পণ্যভিত্তিক ব্যবসায়ী সংগঠনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সরকার–ঘনিষ্ঠ কিংবা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের পদধারী ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মধ্যে অনেকে বছরের পর বছর ধরে আঁকড়ে আছেন পদ। এর ফলে নিজ সংগঠনের নেতা নির্বাচন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। আর ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রকৃত চিত্র নিয়েও ব্যবসায়ী সমাজে তেমন আলোচনা হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভৈরবসহ দেশের ৬৩টি জেলা চেম্বারের মধ্যে ৪৩টিতে সর্বশেষ কমিটি হয়েছে কোনো রকমের ভোট ছাড়া। আর ভোট হয়েছে ১৭টিতে। ৩টিতে ভোটাভুটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রশাসক বসেছে। ২৮টি জেলা চেম্বারের সভাপতি আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের পদে আছেন। ৬টি চেম্বারের সভাপতি পদে আছেন আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা। আবার ৫টি জেলা চেম্বারের সভাপতি নিকট আত্মীয় আওয়ামী লীগের নেতা। অন্যদিকে তিনটি জেলা চেম্বারের সভাপতি বিএনপির সাবেক নেতা আর দুটির সভাপতি জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা।
অন্যদিকে নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ, আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব, প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিপিজিএমইসহ অনেক পণ্যভিত্তিক বড় সংগঠনে এখন আর ভোট হচ্ছে না। এমনকি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ে টানা দুই মেয়াদে ভোট হয়নি। সর্বশেষ গত জুলাইয়ের নির্বাচনে আংশিক পদে ভোট হয়েছে। শেষ পর্যন্ত যাঁরা পর্ষদে ঠাঁই পেয়েছেন, তাঁরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।বিস্তারিত