ইউসুফ খান, তাঁর বাবা ছিলেন ফল ব্যবসায়ী। বাবার ফলের ব্যবসা দেখার পাশাপাশি নিজে স্যান্ডডউইচের দোকান দেন। তবে বেশি দিন তাঁকে এসব ব্যবসা করতে হয়নি। ঘটনাচক্রে হয়ে গেলেন বলিউড বাসিন্দা। বলিউডের প্রথম এই সুপারস্টারকে বলিউড মুঘল হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁকে নিয়ে লিখেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ
স্যান্ডউইচের দোকান দিয়ে পেশা শুরু
বলিউডের ‘ট্র্যাজেডি কিং’ ও ‘বলিউড মুঘল’ বলা হতো তাঁকে। হতে চেয়েছিলেন ব্যবসায়ী কিন্তু ঘটনাচক্রে হয়ে গেলেন বলিউড হিরো। সুদূর পেশোয়ার থেকে বলিউডের সফর মোটেও সহজ ছিল না দিলীপ কুমারের। বলিউড দাপিয়েছেন ছয় দশক ধরে। দিলীপ কুমারের বাবা ছিলেন ফলের ব্যবসায়ী, তাঁর ফলের বাগানও ছিল। ১৯৩০ সালের শেষের দিকে, ১২ সদস্যের পরিবার নিয়ে মুম্বাইয়ে পাড়ি জমান দিলীপ কুমারের বাবা। দিলীপ কুমার নাসিকের কাছাকাছি দেওলিয়ার বার্নস স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন। তবে বাবার সঙ্গে একরোখা ছেলের সম্পর্ক কিছুতেই ভালো হতো না। কথা কাটাকাটির জেরে ১৯৪০ সালের এক দিন বাড়ি ছেড়েই বেরিয়ে পড়লেন কিশোর ইউসুফ। তাঁর ছোটবেলার বন্ধু ছিলেন রাজ কাপুর। বাড়ি ছাড়ার পর ইউসুফের পুণের কথা মনে পড়ল। সেখানে পৌঁছে আলাপ হলো এক ক্যাফে মালিকের সঙ্গে। পাশে পেলেন এক অ্যাংলো ইন্ডিয়ান দম্পতিকে। তাঁদের সহায়তায়ই দিলীপ কুমার সেনাবাহিনী ক্লাবের কাছে স্যান্ডউইচের দোকান খুলে ফেলেন। তাঁর ব্যবসাও রমরমিয়ে চলতে শুরু করে। ইংরেজি ভালো বলতে আর লিখতে পারতেন। ব্যবসা দাঁড় করাতে সময় নিলেন না। বাড়ি ফিরলেন ৫ হাজার টাকা জমিয়ে। বেশ কয়েক বছর সেখানে কাজ করার পর ফের মুম্বাই ফিরে বাবার ফলের ব্যবসায় হাত লাগান। তখনো অবধি জীবনের লক্ষ্য ছিল, ব্যবসায়ী হওয়া।বিস্তারিত