মার্কিন বিচার বিভাগ দেশটির অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন সিনেটর বব মেনেনডেজকে শত শত কোটি ডলার ঘুষ গ্রহনের দায়ে অভিযুক্ত করেছে।
এই সিনেটরের বাস ভবন থেকে বিপুল সংখ্যক স্বর্ণের বার এবং শত শত কোটি ডলার নগদ উদ্ধার করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল প্রসিকিউটরগণ গত শুক্রবার এই প্রভাবশালী মার্কিন সিনেটরকে অভিযুক্ত করেন। প্রসিকিউটরা জানিয়েছেন, মেনেনডেজ একজন মিশরীয়-আমেরিকান ব্যবসায়ীকে তার একচেটিয়া ব্যবসার স্বার্থ রক্ষায় মিসর সরকারকে স্পর্শকাতর তথ্য সরবরাহ করেছিলেন বলে তারা প্রমাণ পেয়েছেন।
মেনেনডেজ মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির (ফরেইন রিলেশন কমিটি) ডেমোক্র্যাট দলীয় সদস্য। তিন বছর আগে তিনি তার বেশ কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং সেই থেকেই তিনি বাংলাদেশে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট উভয় দলের প্রতিনিধিত্বকারী তার বেশ কয়েকজন সহকর্মীর সাথে ৬৯ বছর বয়সী মেনেনডেজ ২০২০ সালে কথিত বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সিনিয়র কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ফেডারেল প্রসিকিউটর ড্যামিয়ান উইলিয়ামস এর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সিনেটর মেনেনডেজ এবং তার স্ত্রী শত শত কোটি ডলার ঘুষ গ্রহণ করেছেন এবং যার বিনিময়ে সেই ব্যবসায়ীদের রক্ষা এবং মিশর সরকারকে লাভবান করার জন্য তার ক্ষমতা এবং প্রভাব ব্যবহার করেছেন।
বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী সম্প্রতি মেনেনডেজ এবং তার স্ত্রী দৃঢ়তার সাথে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে, রয়টার্স জানিয়েছে, পরে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মেনেনডেজ সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে পদত্যাগ করছেন। মেমেনডেজকে ১০ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো দুর্নীতি-সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ইউএস সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির রেকর্ড অনুযায়ী তৎকালীন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও এবং সেক্রেটারি অফ ট্রেজারি স্টিভেন মুচিনকে সম্বোধন করা দ্বিদলীয় চিঠিতে সিনিয়র র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছিলেন।