ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন চূড়ান্তের পথে

ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন চূড়ান্তের পথে

অবশেষে চূড়ান্ত হচ্ছে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩’। প্রস্তাবিত আইনটির খসড়া চূড়ান্ত করতে আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা। তবে এ সুরক্ষা আইন এখনও ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার চেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণমূলক বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এর আগে এ আইনের খসড়া তৈরি করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। ভেটিং শেষে প্রস্তাবিত খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মতামত চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক খসড়ার সারসংক্ষেপ অনুমোদন করেন। আজকের সভায় আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মতামত দেওয়া হবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা যে কোনো সময় মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর এ আইনের সারসংক্ষেপ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন। এই আইন প্রণয়নের ব্যাখ্যায় বলা হয়, রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, সরকারি-বেসরকারি সব শিল্পকারখানার প্রক্রিয়া ও উদ্ভাবনী তথ্য, ব্যবসা-বাণিজ্যসংক্রান্ত দেশীয় প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির গোপনীয় তথ্যের সুরক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। উপাত্ত সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, ব্যবহার বা পুনঃব্যবহার, হস্তান্তর, প্রকাশ, বিনষ্টকরণ ও সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা স্থাপন করার প্রয়োজনীয়তায় এ সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন এবং এর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া প্রয়োজন। আইনটি হলে উপাত্ত সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত বা ধারণ, অভিযোজন, পরিবর্তন, প্রত্যাবর্তনসহ অন্যান্য বিষয়ের নিশ্চয়তা প্রদানের মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল সেক্টরের উন্নয়নের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এদিকে, গত বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ কার্যালয়ে ‘খসড়া উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২৩-এর ত্রুটিপূর্ণ বিধানগুলোর ওপর পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে করে টিআইবি। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রণীত খসড়ায় ব্যক্তিগত তথ্যের সংজ্ঞা পরিষ্কার নয়। ব্যক্তিগত তথ্যের সংজ্ঞা স্পষ্ট থাকতে হবে। সরকারের হাতেই যদি নিয়ন্ত্রণ থাকে, তাহলে ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার হবে। তখন পরিত্রাণ পাওয়ার সুযোগ থাকবে না।

তথ্য প্রুযুক্তি শীর্ষ সংবাদ