শুধু পরিবেশ দূষণ নয়, দেশের কৃষিকে ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন। মাঠঘাট, খালবিল, নদী, ডোবা, কৃষিজমি সর্বত্র সয়লাব অপচনশীল বিপজ্জনক পলিথিনে। এসব পলিথিন মাটি বা পানিতে অপচনশীল অবস্থায় থাকছে শত শত বছর। এতে শিকড় বিস্তার করতে পারছে না গাছ। মাটিতে অণুজীব বাড়তে না পারায় উর্বরতা হারিয়ে বন্ধ্যা হচ্ছে মাটি। ঝুঁকির মুখে সব ধরনের ফসল উৎপাদন। পরিবেশ বিপর্যয় রোধে ২১ বছর আগে দেশে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হলেও এ সময়ে উল্টো বেড়েছে পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে পলিথিন জব্দ করা হলেও বন্ধ হচ্ছে না কারখানা।
পরিবেশবিদরা বলছেন, দুই দশক আগে পলিথিন নিষিদ্ধ করার আগে একটি পলিথিন ব্যাগের দাম ছিল এক-দুই টাকা। মূল্যস্ফীতি ধরলে এখন সেগুলোর দাম হওয়া উচিত অন্তত ১০-১৫ টাকা। অথচ বর্তমানে ২০-৩০ পয়সায় পলিথিন ব্যাগ মিলছে। দোকানিরা পাঁচটি পণ্যের সঙ্গে পাঁচটি পলিথিন বিনামূল্যে দিচ্ছে। ১০০ গ্রাম আদা কিনলেও ঘরে আসছে একটি পলিথিন। প্লাস্টিক বোতলের একটি অংশ রিসাইকেল হলেও পলিথিন সবটাই পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এগুলো গুঁড়ো হয়ে মাইক্রোপ্লাস্টিক আকারে পরিবেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে।বিস্তারিত