উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। ২৮ সেপ্টেম্বর ছিল ভারতরত্ন খেতাবপ্রাপ্ত গায়িকা লতা মঙ্গেশকরের জন্মদিন। ভক্ত-অনুরাগীরা পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় তাঁকে স্মরণ করছেন। ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি অমৃতলোকের উদ্দেশে অনন্ত যাত্রা করেন। তবে তিনি তাঁর গানের সুর দিয়ে সবার অন্তরে বিরাজ করছেন। সাত দশকেরও বেশি সময় সুমিষ্ট কণ্ঠ দিয়ে গানের ভুবন জয় করে রাখা এই মহান শিল্পীকে ভারত সরকার ‘ডটার অব দ্য নেশন’ উপাধিতে সম্মানিত করেছে। মহান এই শিল্পীর আদ্যোপান্ত তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ
ডটার অব দ্য নেশন
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরকে ভারতের ‘ডটার অব দ্য নেশন’ উপাধিতে সম্মানিত করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। ২০১৯ ‘এশিয়ার নাইটিঙ্গেল’ খ্যাত এই মহান শিল্পীর ৯৪তম জন্মদিনে সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় সংগীত জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আলো ছড়ানো লতা মঙ্গেশকরকে এই সম্মানে ভূষিত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পীকে অনেক আগেই ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘অফিসার দে লা দি’ অনার প্রদান করেছে সে দেশের সরকার। ৩৬টি ভাষায় ৫০ হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দেওয়া এই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি ১ হাজারের বেশি ভারতীয় ছবিতে গান করেছেন। এ ছাড়া ভারতের ২০টি আঞ্চলিক ভাষায় গান গাওয়ার একমাত্র রেকর্ডটি তাঁরই। বাংলাতেও তিনি অনেক গান করেছেন। ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ভারতরত্ন পাওয়া তিনিই দ্বিতীয় সংগীতশিল্পী। তাঁর কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ রয়েছে তিনটি জাতীয় পুরস্কার, ১২টি বাঙালি ফিল্ম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার এবং চারটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। শেষে অবশ্য তিনি আর ফিল্ম ফেয়ার নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। শুধু পুরস্কার নয়, ১৯৬৯ সালে ‘পদ্মভূষণ’, ১৯৮৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, ১৯৯৯ সালে ‘পদ্মবিভূষণ’ আর ২০০১ সালে দ্বিতীয় ভারতীয় সংগীতশিল্পী হিসেবে লতা অর্জন করেন ‘ভারতরত্ন’ খেতাব।বিস্তারিত