দুবাইভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ গ্রুপ-এমটিএফই ডিজিটাল প্রতিষ্ঠানের মতো কার্যক্রম পরিচালনা করলেও দেশে এর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো না থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারছে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এমএলএম কোম্পানির মতো কার্যক্রম পরিচালনা করলেও- নিবন্ধিত না হওয়ায় দায় নিচ্ছে না রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস (আরজেএসসি)। এ পরিস্থিতিতে প্রতারণার বিষয়টি বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তদন্ত করলেও-এমটিএফইর ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক, যারা প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগ করেছেন, তাদের অর্থ ফেরত নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন লোভনীয় অফার প্রচার করে হাজার হাজার গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এমটিএফই। শরিয়াসম্মত প্ল্যাটফরম হিসেবে ব্র্যান্ডিং করে এতে বিনিয়োগের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ও এমএলএম কোম্পানির মতো বিভিন্ন পণ্য কিনে লাভবান হওয়ার প্রলোভন দেখানো হয় সাধারণ মানুষকে। বিনিয়োগকারীরা নতুন গ্রাহক বিনিয়োগে আনতে পারলে অতিরিক্ত বোনাস ও কমিশন দেওয়ারও অফার ছিল। ফলে অ্যাপস থেকে অ্যাপসে নীরবে এর কার্যক্রম রাজশাহী, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ ছাড়াও নাইজেরিয়া ও শ্রীলঙ্কাতেও অসংখ্য মানুষ এই অ্যাপসে বিনিয়োগ করেন। গত ১৭ আগস্ট অ্যাপ্লিকেশনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের অর্থ আটকে যায়।বিস্তারিত