বাজেট বাস্তবায়ন করতে অর্থবছরের শুরুর তুলনায় শেষ দিকে বাড়তি খরচের চাপে পড়ে সরকার। এতে সরকারের অপরিকল্পিত ঋণ নেওয়া বেড়ে যায়। এ কারণে ঋণজনিত ব্যয়ও বাড়ে। এতে আর্থিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। ব্যয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এ জন্য অর্থবছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাজেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনা মাফিক বাজেট বাস্তবায়নে অর্থ বিভাগ নির্দিষ্ট কিছু ফরমও দিয়েছে। আগামী ৮ অক্টোবরের মধ্যে ফরম অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট ও সময়নিষ্ঠ পরিকল্পনা পাঠাতে হবে। নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারের আয় ও ব্যয়ের মাধ্যমে ভারসাম্যহীনতার একটি প্রধান কারণ রাজস্ব আহরণ ও সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিকল্পনা না থাকা। অথচ বাজেট সুষ্ঠুভাবে সময়মতো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে অপরিকল্পিত সরকারি ঋণ এড়ানো এবং ঋণজনিত ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানো সম্ভব।
এতে আরও বলা হয়, বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বাজেট বাস্তবায়ন সাধারণত অর্থবছরের প্রথমার্ধে ধীরগতিতে চলে। অর্থবছরের শুরুর দিকে বাজেট নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে যেমন ধীরগতি থাকে, তেমনি বেতন-ভাতা ব্যতীত অন্যান্য আইটেমের বিপরীতে ব্যয়ের পরিমাণও কম থাকে। বিশেষ করে বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, মেরামত সংরক্ষণ, নির্মাণ ও পূর্ত এবং মালপত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রেও অর্থবছরের শেষ দিকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয়ের গুণগতমান নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।
অর্থ বিভাগের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থবছরের শুরুতে সুনির্দিষ্ট ও সময়নিষ্ঠ পরিকল্পনা নিতে হবে।