তিন চ্যালেঞ্জের মুখে সরকার

তিন চ্যালেঞ্জের মুখে সরকার

আগামী মাসেই জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। ফলে চলতি মাসটি ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার চাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো উদ্বোধনসহ অন্যান্য ইতিবাচক দিক জনগণের সামনে দৃশ্যমান করতে। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করে এগোচ্ছেও। ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মেগাপ্রকল্প উদ্বোধনের তারিখও জানানো হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে। সমাবেশ ও সুধী সমাবেশের মাধ্যমে সরকার জনসাধারণের কাছে তাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির তথ্যচিত্র তুলে ধরবে। কিন্তু চলতি মাসের শুরুতেই বেশ কয়েকটি ঘটনায় সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

এমনিতেই দেশের দীর্ঘসময় ধরে ডলার সংকট চলছে, আর এরই মধ্যে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ নিম্নমুখী হচ্ছে। যা গত ৪১ মাসের মধ্যে এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। অন্যদিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। গত এপ্রিল, মে ও জুন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৪ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। ভোটের আগে এমন তথ্য সরকারের জন্য ইতিবাচক নয়। তা ছাড়া নিত্যপণ্যের পাগলা ঘোড়ার লাগাম টানতে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কড়া নির্দেশনা দেয়ার পরও তা অনিয়ন্ত্রিত রয়েছে। দেশের করোনাকালীন সংকটের সময়ও এক কেজি আলুর মূল্য ছিল মানভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে আলুর মূল্য কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এভাবে অন্যান্য পণ্যমূল্য বৃদ্ধির পর তা আর কমছে না। দ্রব্যমূল্যে মানুষ কষ্টে আছে এটি সরকারের প্রায় সব মন্ত্রী জানেন, অন্তত তিন জন মন্ত্রী মানুষের এই কষ্টের কথা প্রকাশ্যে স্বীকারও করেছেন। কিন্তু বাজার অনিয়ন্ত্রিতই থাকছে। সরকারও আন্তরিকভাবে চাচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিন্তু পারছে না, আর এই অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতির মধ্যে গতকাল আবার বেড়েছে গ্যাসের মূল্য। অর্থাৎ মূল্য বৃদ্ধির কোনো ইচ্ছা না থাকলেও সরকার বাধ্য হচ্ছে। ভোটের আগে অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকারের এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অর্থাৎ, ‘খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা, প্রবাসী আয় বাড়ানো ও নিত্যপণ্য মূল্য কমানো’— এই তিন চ্যালেঞ্জের মুখে সরকার। বিস্তারিত

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ