ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নিজস্ব জনবল–সংকটের কারণে মশকনিধনের কাজে ঠিকাদারের মাধ্যমেও কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। তবে চুক্তিতে ফাঁকফোকর থাকায় এসব কর্মীর বেতনের একটি অংশ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার ফরিদ আহমেদের বিরুদ্ধে। তাঁর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ৫৪০ কর্মীকে ঠকিয়ে তিনি বছরে প্রায় চার কোটি টাকা নিজের পকেটে ভরছেন।
ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর সিটির ৫৪টি ওয়ার্ডে মশকনিধনের কাজে স্থায়ী ২৭০ কর্মীসহ নিজস্ব জনবল আছে মাত্র ৩২০ জন। এই জনবল দিয়ে সব ওয়ার্ডে মশকনিধনের কাজ করা অসম্ভব। এ জন্য ঠিকাদারের মাধ্যমে আরও ৫৭৬ কর্মী নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ঠিকাদার ফরিদ আহমেদের প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাল্টি ইন্টারন্যাশনালের ৫৪০ জন। অন্যরা যমুনা স্টার সেভ গার্ড সার্ভিসেস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের।
যমুনা স্টারের কর্মকর্তারা বলছেন, ঠিকাদারি চুক্তি অনুযায়ী তাঁরা প্রত্যেক কর্মীকে মাসে ১৭ হাজার ৬১০ টাকা বেতন দেন।
কিন্তু একই কাজ করলেও মাল্টি ইন্টারন্যাশনালের কর্মীদের বেতন মাসে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানের মশকনিধনকর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের নিয়োগে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যে চুক্তি (২০২১ সালে) হয়েছে, তাতে ঠিকাদারের সার্ভিস কমিশনের বিষয়টি উল্লেখ নেই। এ সুযোগে তাঁদের বেতনের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এর ভাগ পাচ্ছেন ডিএনসিসি কর্মকর্তারাও। ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর এক বছরের জন্য চুক্তিটি নবায়ন করা হয়েছে।বিস্তারিত