ইসরায়েলের অভ্যন্তরে গত শনিবার গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের আকস্মিক আক্রমণের পর গতকাল রবিবারও তীব্র রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, গোটা মধ্যপ্রাচ্য আরেকটি নতুন যুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেই দিয়েছেন, এই যুদ্ধ কঠিন ও দীর্ঘ হবে। এ ছাড়া তেলআবিব দাপ্তরিকভাবে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধের’ ঘোষণাও দিয়েছে।
বিবিসি, আল জাজিরা ও রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাদ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, দুই দিনের নির্বিচার আক্রমণ ও পাল্টাআক্রমণে দুই পক্ষের নিহতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়ে গেছে। ইসরায়েল সরকার জানিয়েছে, ৬০০ নাগরিক নিহত হয়েছেন, আহত দুই হাজারের বেশি এছাড়া শতাধিক লোককে অপহরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭০ জনে। আহত হয়েছেন দুই হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সিএনএনকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলে নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মার্কিন নাগরিক রয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীতে চাকুরিকরা একজন ব্রিটিশ নাগরিক নিহত হয়েছেন- তার নাম নাথান্যাল ইয়ঙ (২০)।
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চল অর্থাৎ গাজার পাশ্ববর্তী এলাকায় গত শনিবার প্রবেশ করে অতর্কিত আক্রমণ করে হামাসের যোদ্ধারা। দিনটি ছিল ইসরায়েলিদের ছুটির দিন। হামাস সদস্যরা ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করে। একই সঙ্গে ‘অজানা’ সংখ্যক ইসরায়েলি নাগরিককে অপহরণ করে ফিলিস্তিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কয়েক দশকের মধ্যে এমন ভয়াবহ, এত রক্তাক্ত দিন দেখেনি ইসরায়েল। চৌকস গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের চোখে ধুলো দিয়ে, ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে এ ধরনের ব্যাপক আক্রমণ-হত্যাযজ্ঞ চালানো ইহুদিবাদী ইসরায়েলের জন্য অত্যন্ত তিক্ত অভিজ্ঞতা। এতে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ইসরায়েল সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে। বিমান হামলার পাশাপাাশি স্থলভাগে আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। গতকালই গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি ট্যাঙ্কের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।বিস্তারিত