ফিলিস্তিন ইস্যুতে ঢাকায় প্রতিদিন বিক্ষোভ সমাবেশ করে সরকার পতনের হুমকি দিচ্ছে ধর্মীয় দলগুলো! দেশের সব ইসলামপন্থিই বায়তুল মোকাররমকেন্দ্রিক কর্মসূচি পালন করছে। সড়ক বন্ধ করে দিচ্ছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আটকে দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে সমাবেশও পালন করছে। বাংলাদেশের সরকারের ওপরও ক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছে। দলগুলো প্রশ্ন তুলে বলছেন, সরকার ইসরাইলি ভিসানীতি গ্রহণ করে দ্বিমুখী আচরণ করছে। কেন এখনো সংসদে এ নিয়ে কথা বলছে না? সাহায্যের জন্য সেনা পাঠাচ্ছেন না…খাদ্য সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে না এমন দাবিও তুলছে। উত্তপ্ত বাক্য ঘোষণাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাউকে বাধা দিচ্ছে না।
ঢাকার দৈনিক বাংলা সড়ক বন্ধ করে গত শুক্রবার শ্রমিক সমাবেশ পালন করেছে চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন। ওই সমাবেশে বিএনপিও যোগ দেয়, বক্তব্য দেয়। গতকালও হেফাজতে ইসলাম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে সমাবেশ করে। খেলাফত মজলিশও সমাবেশ পালন করে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। এ দিকে ঢাকা শহরের থানায় থানায় জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। দলটির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ সাত দফা দাবি নিয়ে গত ১১ অক্টোবর রাজধানীর মতিঝিলে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সারা দেশেও চলছে শিবিরের কর্মসূচি। এ দিকে ঢাকায় সমাবেশের মাধ্যমে আগামী ২০ অক্টোবর ইসলামী আন্দোলন চরমোনাইয়ের ছাত্র-যুবসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয়। খেলাফত মজলিস আগামী ২৭ অক্টোবর দেশব্যাপী গণমিছিল, ১৬ অক্টোবর থেকে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল, উলামা-মাশায়েখ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়।
গাজাসহ ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলা বন্ধের দাবিতে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে আগামী ২০ অক্টোবর দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে। হেফাজতে ইসলামও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। নেতাকর্মীদের মুক্তি ও সব মামলা প্রত্যহার দাবিতে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন করবে তারা। সাময়িক ইস্যুতে দলগুলো মাঠের অনুশীলন করছে বলেও অনেকে বলছেন। যেকোনো মুহূর্তে ভিন্ন দৃশ্যপট ধারণা করতে পারে। আদর্শ নিয়ে ভিন্ন মত থাকলেও এক সারিতে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকে।বিস্তারিত