প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“দেশে প্রথমবারের মতো ৬ মার্চ ২০১৭ ‘জাতীয় পাট দিবস’ উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি পাটচাষি, পাটশিল্পের শ্রমিক-কর্মচারী, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীসহ পাট উৎপাদন এবং বিপণনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
সোনালি আঁশখ্যাত পাট বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। পাটখাত এখনও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। শ্রমঘন পাটখাত দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স¦াধীনতার পর পাট ও বস্ত্রকলসমূহ জাতীয়করণ করেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ক্ষমতা দখলকারী সরকারগুলো পাটশিল্পকে ধ্বংস করে। একের পর এক পাটকল বন্ধ করে দেয়। বিএনপি সরকার ২০০২ সালে অন্যান্য পাটকলসহ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পাটকল আদমজীও বন্ধ করে দেয়। ফলে পাট, পাটপণ্য উৎপাদন, রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। পাট শিল্প ধ্বংস হয়ে যায়।
আওয়ামী লীগ সরকার পাটখাতের উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছে। বেশ কয়েকটি বন্ধ পাটকল পুনরায় চালু করা হয়েছে। পাটের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির জন্য পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ এবং পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা ২০১৩ কার্যকর করা হয়েছে। একটি সময়োপযোগী পাট আইন ২০১৬ অনুমোদনের পথে।
দেশীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য ও কৃষ্টির সঙ্গে মানানসই বাংলাদেশের গর্ব সোনালি আঁশ বা পাটের বহুবিধ পণ্য বাজারে বিদ্যমান। ফলে এই পাটশিল্প বিকাশের স্বার্থে যথাসম্ভব দেশীয় সংস্কৃতি ধারণ করে এরূপ পরিবেশবান্ধব পাটজাত সামগ্রী ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এতে পাট চাষিগণ পাটের ন্যায্য মূল্য পাবেন। পাটখাতের উন্নয়ন ঘটবে। সোনালি আঁশের ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে। পাট পরিবেশবান্ধব, তাই নির্মল ও দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পাট ও পাটজাত বহুমুখী পণ্যের বিকল্প নেই। আমি আশা করি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সোনালি আঁশ অন্যতম হাতিয়ার হবে।
‘জাতীয় পাট দিবস-২০১৭’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”