মার্কিন প্রাক্–নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য অংশীজনদের মধ্যে অর্থবহ সংলাপের সুপারিশ করেছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপির শর্তের বেড়াজালে এই মুহূর্তে সংলাপের সম্ভাবনা নেই। দল দুটির নেতারা প্রকাশ্যে এমন ধারণা দিচ্ছেন। দুই পক্ষই পরিস্থিতির জন্য একে অপরকে দায়ী করছে।
বিএনপি চাইছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগ। আর এই প্রশ্নে কোনো ছাড় দিতে বা আপস করতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ। এখন নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়ে কার্যত রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের দিকেই এগোচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, দুটি পক্ষই এই মুহূর্তে নিজ নিজ অবস্থানের সমর্থনে শক্তি দেখিয়ে জিততে চাইছে। ফলে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা উচিত। কিন্তু এক দফা দাবি তুলে বিএনপি সেই পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে যদিও দুই দলেরই নেতাদের অনেকে সংঘাত এড়াতে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন, কিন্তু তাঁরাও নিজেদের দলীয় অবস্থানের পক্ষে অনড় থেকে পরস্পরের ওপর চাপ সৃষ্টিতে দলের কৌশলকে সমর্থন করছেন।
মার্কিন প্রাক্–নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল ঢাকা সফরের পর ফেরত গিয়ে গত শনিবার ওয়াশিংটন থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছে। তারা বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহনশীল বক্তৃতা ও অর্থবহ সংলাপসহ পাঁচটি সুপারিশ করেছে। মার্কিন দলের এই বক্তব্য গতকাল রোববার বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর অন্তত দুজন মন্ত্রী সংলাপ বা আলোচনার প্রশ্নে কথা বলেছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, ‘বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চায়। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি করছে তারা। আমরা সংলাপের চিন্তা করব তখন, যখন তারা (বিএনপি) এসব শর্ত প্রত্যাহার করে নেবে। শর্তযুক্ত কোনো সংলাপের ব্যাপারে আমাদের কোনো চিন্তাভাবনা নেই।’বিস্তারিত