অর্থনীতি চাপের মধ্যে আছে গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই অর্থনীতির সূচকগুলো অস্থির হয়েছে। দেখা দেয় উচ্চ মূল্যস্ফীতি, কমে টাকার মান, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতও প্রতি মাসে কমতে থাকে আশঙ্কাজনকভাবে।
কিন্তু তখনো নীতিনির্ধারকেরা প্রতিনিয়ত বলেছেন যে বহির্বিশ্বের নানা ঘটনাপ্রবাহের কারণে অর্থনীতির ওপর এই চাপ। এই সংকট আমদানিকৃত, দেশের অভ্যন্তরীণ কারণে ঘটছে না। একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকও।
কিন্তু এখন সেই বাংলাদেশ ব্যাংকই বলছে, দেশের অর্থনীতি সংকটে পড়েছে কেবল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে নয়। বরং এর জন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ছয় কারণও দায়ী।
এই ছয় কারণ হচ্ছে আবহাওয়াজনিত প্রতিবন্ধকতা (অতিমাত্রায় তাপপ্রবাহ, অতিবৃষ্টি, অপ্রত্যাশিত বন্যা), অনৈতিক ব্যবসা (সিন্ডিকেট, মজুতদারি, মূল্য ঠিক করা, কৃত্রিমভাবে ঘাটতি দেখানো ইত্যাদি), দুর্বল করপোরেট পরিচালনা, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি সংস্কৃতি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো এবং ওভার ও আন্ডার-ইনভয়েসিং (আমদানি-রপ্তানিতে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে শুল্ক ফাঁকি ও অর্থ পাচার)।
বাংলাদেশ ব্যাংক অবশ্য বহির্বিশ্বের তিনটি কারণের কথাও বলেছে। যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা বিঘ্ন হওয়া; পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণের মূল্যবৃদ্ধি। আর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের এসব ঘটনাপ্রবাহের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ফেড নীতি সুদহার বাড়িয়ে দেয়। এর প্রভাবে বাংলাদেশের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যের ঘাটতি তৈরি হয়। তাতে টাকা বড় ধরনের অবমূল্যায়ন ঘটে দফায় দফায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের এসব কারণেই দেশের অর্থনীতিতে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। যেমন বিনিময় হারে অস্থিতিশীলতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং উচ্চ খেলাপি ঋণ।বিস্তারিত