ভোটের আগে মুঠোফোন নজরদারির নতুন ব্যবস্থা নভেম্বর থেকে সমন্বিত আড়ি পাতার ব্যবস্থা চালু হচ্ছে, যা ব্যক্তির অবস্থানের সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাবে।

ভোটের আগে মুঠোফোন নজরদারির নতুন ব্যবস্থা নভেম্বর থেকে সমন্বিত আড়ি পাতার ব্যবস্থা চালু হচ্ছে, যা ব্যক্তির অবস্থানের সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাবে।

নির্বাচনের আগে মুঠোফোনে নজরদারির নতুন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এ ব্যবস্থায় কোন মুঠোফোন ব্যবহারকারী কোথায় অবস্থান করছেন, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাবে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা। এটি স্থাপন করতে মোবাইল অপারেটরদের ব্যয় হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারির ব্যবস্থা এখনো আছে। এ ব্যবস্থায় একটি মুঠোফোন নম্বর ব্যবহারকারী কোন এলাকায় রয়েছেন, তা জানা যায়। তবে সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানা যায় না। নতুন ব্যবস্থা হবে আরও সুনির্দিষ্ট।

ধরা যাক, একজন মুঠোফোন ব্যবহারকারী এখন ফার্মগেট মোড়ে রয়েছেন। এখনকার ব্যবস্থায় সেখানকার মোবাইল নেটওয়ার্কের বেজ ট্রান্সসিভার স্টেশনের (বিটিএস, যা টাওয়ার নামে পরিচিত) আওতার তিনটি কেন্দ্রের (সেল) কোনটিতে গ্রাহক অবস্থান করছেন, তা জানা যায়। যেহেতু বিটিএসের আওতা মোটামুটি বড় থাকে, ফলে গ্রাহকের সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানা যায় না।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও টেলিযোগাযোগ খাত সূত্র বলছে, নতুন ব্যবস্থায় ওই ব্যক্তি ফার্মগেট মোড়ের ঠিক কোন জায়গায় আছেন, সেটিও সুনির্দিষ্টভাবে জানা যাবে। ফলে ব্যক্তি কোন ভবনে রয়েছেন, তা শনাক্ত করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে জানা যাবে বিপুলসংখ্যক মানুষের গতিবিধি।

নতুন ব্যবস্থায় মুঠোফোন ব্যবহারকারীর ছয় মাসের ‘জিও লোকেশন’ উপাত্ত সংরক্ষণ করা হবে। সেখান থেকে তাঁর গতিবিধির এলাকা শনাক্ত করা সম্ভব। জিও লোকেশন হলো মুঠোফোন গ্রাহকের অবস্থানের তথ্য। একজন গ্রাহক মুঠোফোন নিয়ে যদি কোথাও যান, মুঠোফোন যদি সচল রাখেন, তাহলে তাঁর অবস্থানের তথ্য জানা যায় জিও লোকেশনের মাধ্যমে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিবিশেষজ্ঞ প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমান ব্যবস্থায় বেশিসংখ্যক মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন। কারণ, প্রত্যেকের তথ্য আলাদা আলাদাভাবে সংগ্রহ করতে হয়। নতুন ব্যবস্থা কাজ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে। এতে হাজার হাজার মানুষের জিও লোকেশন বিশ্লেষণ করা সহজ হয়ে যাবে।বিস্তারিত

তথ্য প্রুযুক্তি শীর্ষ সংবাদ