অনলাইন ডেস্ক
নভেম্বরে তফসিল ঘোষণার পর পাল্টে যেতে পারে দেশের রাজনৈতিক চিত্র। মাঠে শক্তি প্রদর্শনের দুই পক্ষের যে অবস্থান, তা কোথায় গিয়ে থামবে! এ নিয়ে সন্দিহান সবাই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন সংকটে এখন আর সংলাপে সমাধানের পথ নেই। তবে তারা মনে করেন, দেশ ও মানুষের স্বার্থের এক বিন্দুতে আসতে হবে দুইপক্ষকেই।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ থেকে মহাযাত্রা শুরু হবে। এরপর থেকে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি থেমে থাকবে না।
এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।
দলের কেন্দ্র থেকে প্রান্ত, দুই পথে দুই মত। রাজনীতির মাঠের এই দ্বান্দ্বিক অবস্থান দিন যত যাচ্ছে ততবেশি ঘনীভূত হচ্ছে। এর যে সুষ্ঠু সমাধান আপাতত হচ্ছে না, তা বোঝা যাচ্ছে পরস্পর বিরোধী অনঢ় অবস্থানের কারণে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহম্মেদ বলেছেন, যেহেতু এতদিনেও আস্থার পরিবেশ তৈরি হয়নি, স্বভাবতই এমন পরিস্থিতে একপক্ষ সুফল পাবে আরেক পক্ষ বঞ্চিত হবে। বিএনপি প্রায় অর্ধেক জনমতকে নিয়ন্ত্রণ করে তাদেরকে বাদ দিয়ে দুই মেয়াদের পর নির্বাচন, এটা হজম করা সম্ভব নয়।
এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে তফসিল ঘোষণার পর পাল্টে যেতে পারে অনেক চিত্র। এখন তো বড় বড় সব রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যেতে চায়। অনেক জুনিয়র নেতাও এমপির হওয়ার স্বপ্ন দেখে। তাই বিএনপির তৃণমূল নেতারা নির্বাচন ছেড়ে দেবে বলে মনে হয় না। এর ফলে বিএনপির মধ্যে আরেক ধরনের বিভাজন তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
দেশ ও মানুষের কথা চিন্তা করে, দুই দলকেই একবিন্দুতে আসার আহবান এই বিশ্লেষকের।