ভেজাল পণ্যে সয়লাব বাজার। মানহীন খাবার নিয়ে সবার মাঝে এক ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছেই। পণ্যের মান নিশ্চিত করতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের জন্য বঙ্গবাজার মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক একটি খাদ্য পরীক্ষাগার বা ল্যাব। কোটিরও বেশি অধিবাসী অধ্যুষিত রাজধানীতে খাদ্যের মান পরীক্ষা করতে এ ল্যাবের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দম ফেলারও ফুরসত পাওয়ার কথা নয়। অথচ বাজারে ভেজাল তথা মানহীন খাবারের সয়লাব সত্ত্বেও এ ল্যাবে নেই কোনো কর্মব্যস্ততা। অলস সময় পার করতে দেখা যায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে সিটি করপোরেশন থেকে ভেজালবিরোধী অভিযানে যেসব খাদ্যপণ্য সংগ্রহ করা হয়, তা পরীক্ষা করে মানসম্মত নাকি মানহীন, তা নির্ধারণ করা হয় এই পরীক্ষাগার থেকে। খাদ্য মানহীন হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী মামলা ও আর্থিক জরিমানা করে থাকে সিটি করপোরেশন। ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে মোট ১৮ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ১০, উত্তরে আটজন। এই পরীক্ষাগারে ৭০টি খাদ্য ও পানীয়ের নমুনা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা আছে। এককথায় ঢাকাবাসীর নির্ভেজাল খাদ্য নিশ্চিত করার দায়িত্ব এ প্রতিষ্ঠানের; কিন্তু ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর এ ল্যাবের কার্যক্রম নেই বললেই চলে। কারণ হিসেবে জানা গেছে, বছরের অর্ধেক সময় খাদ্য পরিদর্শকরা মশা মারার কাজেই ব্যস্ত থাকেন। কারণ মে বা জুন মাস থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়। সিটি করপোরেশনের মশক কর্মী সংকট থাকায় এ খাদ্য পরিদর্শকদের কাজে লাগায় সংস্থা দুটি। আর বাকি অর্ধেক সময় নামমাত্র খাদ্য নমুনা সংগ্রহ করেন তারা। বিস্তারিত