দেশের অর্থনীতি বড় হওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক ও যানবাহনের সংখ্যা। তবে তৈরি হচ্ছে না দক্ষ পেশাদার চালক। ফলে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা আর হতাহতের সংখ্যা। চলতি বছর প্রথম ৯ মাসেই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু সাড়ে ৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী, চার স্তরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চালকদের লাইসেন্স পাওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ আছে, ৯০ ভাগ পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই যথাযথ যোগ্যতা যাচাই করা হয় না। বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধান বলছে, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি- বিআরটিএ’র ত্রুটিপূর্ণ পরীক্ষা পদ্ধতি ও সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেই যথাযথ যোগ্যতা যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না। আর দক্ষ চালক তৈরিতে বিআরটিএর নিবন্ধিত ড্রাইভিং স্কুলগুলোতেও দক্ষ প্রশিক্ষক না থাকার তথ্য মিলেছে। অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ ড্রাইভিং স্কুলই ড্রাইভিং লাইসেন্সের দালালের ভূমিকায় কাজ করে থাকে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই)-এর তথ্য অনুযায়ী ৯০ শতাংশ দুর্ঘটনার পেছনে চালকের সম্পৃক্ততা রয়েছে। বিআরটিএ-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত ভারী যানবাহনের সংখ্যা ২ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৭টি। অন্যদিকে লাইসেন্সধারী ভারী যানবাহন চালকের সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার ১০। পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মানদন্ডে ভারী যানবাহনপ্রতি দেড়জন করে চালক প্রয়োজন।বিস্তারিত