৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর টানা তিন দিন বিএনপি অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণার পর এবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফের শান্তি সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, নাশকতা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ কর্মসূচি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনের জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর শাখাসমূহকে ব্যাপকভাবে এই কর্মসূচি পালনের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
একই সঙ্গে তিনি বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি তথাকথিত হরতাল, অবরোধ ও সমাবেশের নামে যাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সাধন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট এবং ধ্বংসাত্মক অপতত্পরতা ও কোনো ধরনের সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী সমর্থকদের সর্বাত্মক সতর্ক অবস্থানে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে পালটাপালটি কোনো কর্মসূচি দিচ্ছি না। আমাদের কর্মসূচি যা ছিল তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের শান্তি সমাবেশ অব্যাহত থাকবে। অবরোধ থেকে দেশের স্থাপনা রক্ষায় দলীয় নেতাকর্মীদের সারাদেশে সতর্ক পাহারায় থাকার নির্দেশ দেন তিনি। জানা গেছে, বিএনপি অবরোধ কর্মসূচিকে সামনে রেখে যাতে দেশে কোনো বিশৃঙ্খলা-নাশকতা করতে না পারে সেজন্য সারা দেশে দলীয় নেতাকর্মীদের সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। আজ ভোর থেকে রাজধানীর প্রতিটি থানা-ওয়ার্ডের অলিগলিতে সতর্ক পাহারায় থাকবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এটা তিন দিন অব্যাহত থাকবে। মিছিল ও শান্তি সমাবেশ করা হবে রাজধানীর শতাধিক স্থানে।
বৈঠকে সূচনা বক্তৃতায় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির লক্ষ্য নির্বাচনকে বানচাল করা, অংশ নেওয়া নয়। নির্বাচন চাইলে তারা এমন সন্ত্রাস করত না। নির্বাচন বানচাল করতে চায় বলেই আন্দোলনের নামে সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে। নৃশংসতা বিএনপির আসল রূপ। পুলিশ-সাংবাদিক কাউকেই ছাড় দেয়নি তারা। ‘দেশের বর্তমান অবস্থার নিরিখে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে’ এই আশা প্রকাশ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, গত ২৮ অক্টোবর দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ভিক্টরি (বিজয়ী) মনোভাব দেখেছি, এটাই আমাদের বিজয়। এটাই বিরোধীদের ব্যর্থ আন্দোলনের বিরুদ্ধে নির্বাচনমুখী আমাদের বিজয়ের অভিযাত্রা।’ ২৮ অক্টোবর শত উসকানি সত্ত্বেও শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন করায় দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। দলে শৃঙ্খলা রক্ষায়ও গুরুত্ব দেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি কর্মীরা এখন বলছেন, তারেক রহমান ভুয়া, মির্জা ফখরুলও ভুয়া। এক দফা ও আন্দোলন ভুয়া। কান টানলাম জীবনেও আর আসব না। এই দল করব না, কান ধরে বলেছে। বিএনপির আন্দোলনের পতন গোলাপবাগে শুরু হয়