নাশকতা-সহিংসতার মাধ্যমে পোশাকশিল্পের ক্ষতি করার চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব)। সাম্প্রতিক ‘নাশকতা ও সহিংসতায়’ জড়িতদের গ্রেফতারে কাজ করা হচ্ছে। আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব বলছে, কতিপয় দুস্কৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি পোশাক খাতকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে পোশাক শ্রমিকদের উসকে দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়।
সম্প্রতি পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে দেশের বিভিন্ন গার্মেন্টসের পোশাক শ্রমিকরা তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির দাবীতে আন্দোলন শুরু করে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কতিপয় দুস্কৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল গত ৩১ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুরের একটি গার্মেন্টসে সংঘর্ষে জোসনা নামে এক পোশাক শ্রমিককে হত্যা করে লাশ গুম করার হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে এ বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজধানীর মিরপুরে পোশাক শ্রমিকরা আন্দোলন করার ফলে বিষয়টি দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়।
এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ নভেম্বর রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব ফোর্সেস রাজধানীর কালশী এলাকায় নিখোঁজ পোশক শ্রমিক জোসনা বেগমকে খুঁজে পায় এবং সে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে তার পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছিল। এছাড়া যে সব দুস্কৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে তাদের অপচেষ্টা রোধপূর্বক জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে নজরদারি অব্যাহত রাখছে র্যাব।
আরো বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে গার্মেন্টস সেক্টরে চলমান সহিংসতা প্রতিরোধ ও শান্তিপ্রিয় পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তারা যেন তাদের কর্মস্থলে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে তার জন্য র্যাব ফোর্সেসসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বলা হচ্ছে, গার্মেন্টসে নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনার মূলপরিকল্পনাকারী এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার আসামি ও জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব। এছাড়া গার্মেন্টসে নাশকতা ও সহিংসতা সৃষ্টি করতে কেউ মদদ দিচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গার্মেন্টসের বিভিন্ন সংগঠন বা শ্রমিক সংগঠনগুলো যারা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবী নিয়ে কাজ করছে র্যাব তাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে।
সবশেষে বলা হয়, ভবিষ্যতেও যেন কোনো দুস্কৃতিকারী ও সার্থান্বেষী মহল পোশাক শ্রমিকদের উসকে দিয়ে এ ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য র্যাব ফোর্সেস এর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।