রাজধানীতে ৪ বাসে আগুন

রাজধানীতে ৪ বাসে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাত্র আড়াই ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীতে চারটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত ১০টা নাগাদ এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। তবে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিটি বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা।

এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর নিউমার্কেট থানাধীন গাউছিয়া মার্কেটের সামনে যাত্রীবাহী বাসে প্রথম আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। মিরপুর লিংক পরিবহনের ওই বাসটিতে আগুন দেওয়ার সময় বাসে যাত্রী থাকলেও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

কাছাকাছি সময়ে সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্ল্যান সিটি সেন্টারের সামনে গ্রিন ইউনিভার্সিটির একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এর কিছুক্ষণ পরই রাত ৭টা ৫৫ মিনিটের দিকে সায়েদাবাদ জনপথ মোড় ফ্লাইওভারের নিচে এক যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পোস্তাগোলা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

সবশেষ অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটে রাত ১০টায়। গুলিস্তান পাতাল মার্কেটের সামনে মনজিল এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম এ তথ্য জানান।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানিয়েছেন, সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীতে চারটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা পৃথক স্থানে বাসে দেওয়া এসব আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

এদিকে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৫ ও ৬ নভেম্বর সারাদেশে দ্বিতীয় দফায় সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা বিরোধীদলগুলো। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর থেকে ১ ও ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনারা।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের পর দলটি গত রোববার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিনদিন অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এরই মধ্যে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা গ্রেফতার হয়েছেন।

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ