অর্থনৈতিক রিপোর্টার
বাজার সিন্ডিকেটকে ধরার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীকে বলবো মাথায় বাড়ি দিয়ে বাজার সিন্ডিকেটকে ধরুন। অন্যথায় সাধারণ মানুষের জন্য নেয়া সরকারের মহতী উদ্যোগগুলো বৃথা যাবে।
বৃহস্পতিবার নভেম্বর মাসের ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি ও স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ ফজলে নূর তাপস।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল ইসলাম।
মেয়র তাপস বলেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার ধ্বংস করা হচ্ছে। এ সিন্ডিকেট একসময় আলুর দাম বাড়াচ্ছে, একসময় লবণ, একসময় পিয়াজ তো একসময় তেলের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা তো আলু রপ্তানি করি, তাহলে কীভাবে আলুর সংকট পড়ে, কীভাবে আলুর দাম বেশি হয়। একটাই কুচক্রীমহল রয়েছে, তারা কোনো সময় আলু, ডিম, চাল বা তেলের বাজারে কারসাজি করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মেয়র বলেন, আজ বিশ্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। আমরা তো টিসিবির মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষকে খাবার দিতে পারছি। কিন্তু মধ্যম আয়ের মানুষকে দিতে পারছি না। তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আপনি সিন্ডিকেটকে এমনভাবে ধরবেন যাতে তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
তাদের মাথায় বাড়ি দিয়ে বাজার সিন্ডিকেটকে ধরেন। অন্যথায় আমাদের অর্জন সব বৃথা চলে যাবে। কোনো অর্জনই কাজে আসবে না।
ব্যারিস্টার তাপস আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এমনি এমনি মানবতার জননী উপাধি লাভ করেননি। তিনি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন বলেই এ উপাধি পেয়েছেন। টিসিবির কার্ডও সাধারণের কর্মসূচির একটি অংশ।
সারাদেশে এক কোটি পরিবার কার্ডধারী নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের মাঝে বৃহস্পতিবার থেকে ভর্তুকি মূল্যে নভেম্বর মাসের পণ্য বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
সংস্থাটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী ৬০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মসুর ডাল, ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল ও ১০০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। উপকারভোগীরা ৭০ টাকা দরে সর্বোচ্চ ১ কেজি চিনি কিনতে পারবেন।
তবে চিনি সব পয়েন্টে পাওয়া যাবে না। প্রাপ্যতাসাপেক্ষে কয়েকটি স্থানে বিক্রি করা হবে। কোন কোন এলাকায় চিনি বিক্রি হবে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। তবে এবার পিয়াজ বিক্রি করছে না টিসিবি। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত ডিলারের কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করতে হবে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের।