ঢাকার দুই সিটিতে বেড়েছে করের খাত, বাড়েনি সেবা মশা ও জলাবদ্ধতার সমস্যা বেশিরভাগ ওয়ার্ডে করের অধীনে নতুন ওয়ার্ডও, পৌঁছেনি সেবা

ঢাকার দুই সিটিতে বেড়েছে করের খাত, বাড়েনি সেবা মশা ও জলাবদ্ধতার সমস্যা বেশিরভাগ ওয়ার্ডে করের অধীনে নতুন ওয়ার্ডও, পৌঁছেনি সেবা

মশা, ভাঙা সড়ক, জলাবদ্ধতা ও বায়ুদূষণ যেন ঢাকার নিত্যদিনের সমস্যা। দুই সিটি করপোরেশনের প্রায় বেশির ভাগ ওয়ার্ডই এসব সমস্যায় জর্জরিত। নাগরিক সেবা নিশ্চিত না হলেও দুই সিটি করপোরেশনে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন করের খাত। নাগরিকদের এসব কর দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে দুই সিটি করপোরেশনের নতুন ওয়ার্ডগুলোতে এখনো কোনো নাগরিক সেবা না পৌঁছলেও শুরু হয়েছে করের চাপ। ইউনিয়ন থেকে সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হলেও তাদের সুবিধা বাড়েনি। সুবিধা না বাড়িয়ে করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা।

দুই সিটি করপোরেশনের তথ্যানুযায়ী গত তিন বছরে অন্তত ২৮টি কর খাত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তিন বছরে ৯টি কর খাত বাড়িয়েছে। তা হলো—মোবাইল টাওয়ার, ইমারত নির্মাণ এবং পুনর্নির্মাণের জন্য আবেদনের ওপর কর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ট্রেনিং সেন্টার। মেলা ও বাণিজ্যিক প্রদর্শনীর ওপর ফি, টিউটোরিয়াল স্কুল, কোচিং সেন্টার ইত্যাদির ওপর, বাজারের ওপর ফি, এয়ারপোর্ট এবং রেল স্টেশন থেকে কর, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন থেকে কর এবং স্মার্ট পার্কিং থেকে কর আদায় করছে সংস্থাটি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তিন বছরে ১৯টি কর খাত বাড়িয়েছে। এর মধ্যে রিকশা লাইসেন্স ফি, ইমারত নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণের জন্য আবেদনের ওপর, নগরীতে ভোগ, ব্যবহার বা বিক্রয়ের জন্য পণ্য আমদানির ওপর। নগর থেকে পণ্য রপ্তানির ওপর, টোলজাতীয় কর, পেশা বা বৃত্তির ওপর। বিবাহ, তালাক, দত্তক নেওয়া ও জিয়াফত বা ভোজের ওপর কর। পশুর ওপর, জনসেবামূলক কার্যসম্পাদনের ওপর। সরকার আরোপিত করের ওপর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ট্রেনিং সেন্টার প্রভৃতির ওপর এবং মেলা, কৃষি প্রদর্শনী, শিল্প প্রদর্শনী, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও অন্য জনসমাবেশের ওপর কর নির্ধারণ করেছে সিটি করপোরেশন। এছাড়া বাজারের ওপর ফি (ইজারা), টিউটোরিয়াল স্কুল, কোচিং সেন্টার ইত্যাদি নিবন্ধিকরণ ফি, প্রাইভেট হাসপাতাল, প্যারামেডিকেল ইনস্টিটিউট, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ইত্যাদির নিবন্ধিকরণ ফি, করপোরেশন এলাকায় অবস্থিত হোটেলে অবস্থানকারীর ওপর নগর কর, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কাজে নিযুক্ত প্রাইমারি কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার (পিসিএসপি) নিবন্ধন ও বার্ষিক ফি, ইউটিলিটি সার্ভিস প্রদানে রাস্তা ব্যবহার ফি ও অন্যান্য (ব্যাংক সুদ, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু) খাত রাখা হয়েছে। এর বেশির ভাগ খাত থেকে টাকা আদায় করছে সংস্থাটি।বিস্তারিত

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ