কোহিনুর হীরার দুর্গ গোলকুন্ডা

কোহিনুর হীরার দুর্গ গোলকুন্ডা

কোহিনুর, জ্যাকব, হোপ, নীলম এই বহু মূল্যবান হীরাগুলো মিলেছিল ভারতের হায়দরাবাদের গোলকুন্ডা দুর্গ থেকে। হাজার বছরের ইতিহাস প্রতিটি পরতে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই দুর্গ। ৪৮০ ফুট উঁচু এই দুর্গ থেকে পাখির চোখে দেখা যায় প্রায় গোটা হায়দরাবাদ শহর। ভারত সফররত বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সুযোগ হয়েছিল ঐতিহাসিক এই গোলকুন্ডা দুর্গ ঘুরে দেখার। দুর্গ ঘুরে এসে পাঠকদের জন্য বিস্ময়কর এই দুর্গের অজানা অধ্যায় তুলে ধরেছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জয়শ্রী ভাদুড়ী ও নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী; কাজী শাহেদ

 

 

 

রহস্যের অন্তর্জালে গোলকুন্ডা

বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা। দুর্গের গায়ে হেলান দিয়ে অস্ত যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সূর্য। কালের সাক্ষী গোলকুন্ডা দুর্গের প্রতিটি পরতে জমে রয়েছে ইতিহাস, গল্প আর মিথ। ঢিমেতালে সিঁড়ি ভেঙে গল্প বলে চলছেন দুর্গের গাইড শেখ বাবা। তার গল্পে যেন ছুঁয়ে যাচ্ছিল ইট-পাথরের দুর্গকে। হাজার বছর পেরিয়ে আসা সময় যেন থমকে দাঁড়িয়েছিল দর্শনার্থীর সামনে। দুর্গের প্রবেশ ফটকে ঢুকতেই চোখে পড়ে দুটি সদর দরজা। যার একটি দিয়ে হাতি ঘোড়া নিয়ে প্রবেশ করতেন বাদশা আর অন্য দরজাটি ছিল সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য। এই দুর্গের প্রথমে নাম ছিল মাটফোর্ট। স্থানীয় ভাষায় বলা হতো গোল্লাকুন্ড, গোল্লা অর্থ গোলাকার ও কুন্ড অর্থ পাহাড়। বাহমানি সুলতান কুতুব শাহ এই দুর্গ নির্মাণ শুরু করেন, যা সম্পন্ন হতে সময় লেগেছিল প্রায় ৬২ বছর। সুলতান অবশ্য তাঁর জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারেননি এই দুর্গ। দুর্গ নির্মাণে ইট, বালু, সুড়কির সঙ্গে মেশানো হয়েছিল ওড়ুত অর্থাৎ অড়হর ডাল। যাতে শক্তিশালী হয় দুর্গের প্রাচীর; মোকাবিলা করতে পারে শত্রুপক্ষের আক্রমণ। দুর্গের আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে এগিয়ে চলতে থাকে গল্প। দেখা মেলে চৌকোনা দুটি ঘরের, যাতে নেই কোনো দরজা-জানালা; আছে শুধু চারকোনায় চারটি পেরেক। গাইড জানান, এই পেরেকে ভারী পর্দা টাঙিয়ে আলাদা করা হতো দুটো ঘরকে। এখানে বসতেন বাদশাহর হিসাবরক্ষক দুই ভাই মান্দানা ও আকান্না।বিস্তারিত

বিচিত্র খবর শীর্ষ সংবাদ